তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে উত্তম আচরণ করো ও উত্তম আচরণ করার শিক্ষা দাও।’ (সূরা-৪ নিসা, আয়াত: ১৯)।
আজ ৮ ই মার্চ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ আমরা শুধু আজই নারীদের সম্মান দিব, আলোচনা করব এমন যেন না হয়। আমরা সব সময় নারীদের যথাযথ সম্মান ও তাদের প্রাপ্য ভালোভাবে দেয়ার চেস্টা করি।
একটি কথা আমাদের মনে রাখতে হবে সবসময়, নারীদের ওপর যেমন অধিকার রয়েছে পুরুষের, তেমনি রয়েছে পুরুষের ওপর নারীর অধিকার।
আমরা নারী পুরুষ উভয় উভয়কে যথাযথ সম্মান দেই তাহলে পরিবার, সমাজ তথা রাস্ট্র এর ফল পাবে।
কবির ভাষাতে,
‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর।’
একথা ধ্রুব সত্য।
বর্তমান সময়ে একজন নারী আমাদের সকলের অন্যতম অনুপ্রেরণার উৎস। নারীরা তাদের কর্ম-জীবনের পাশাপাশি একই সাথে পরিবারের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত মেধাবী ও ধৈর্যশীল। আর এজন্যই নারীর ক্ষমতা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় সারাবিশ্বে প্রতি বছর সম্মানের সহিত ৮ ই মার্চ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালন করা হয়।
মানব জাতিকে সুন্দরভাবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং বিশ্বকে উন্নত করার জন্য প্রত্যেক নারীর ভূমিকা এবং অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এই দিনটি বিশেষ ভাবে মূল্যায়ন করা হয়।
নারী তাঁর নারীত্বের মর্যাদা বজায় রেখেই সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন রাখছেন, রাখবেন। নারী ছাড়া অন্য কেউই মাতৃত্বের সেবা ও সহধর্মিণীর গঠনমূলক সহযোগী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম নয়। মায়েদের ত্যাগ ও ভালোবাসা ছাড়া মানবীয় প্রতিভার বিকাশ ও সমাজের স্থায়িত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। মায়েরাই সমাজের প্রধান ভিত্তি তথা পরিবারের প্রশান্তির উৎস।
“একজন “মা” একজন বোন, একজন স্ত্রী, একজন কন্যা, প্রত্যেক নারীকেই জানাই নারী দিবসের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।”