আজ বুধবার (১০ জুলাই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পি (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। পাশাপাশি গতদিনের তুলনায় কমেছে লেনদেন। কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
আজ সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম ৩ ঘন্টা ডিএসইর সবকয়টি সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে দুপুর ১ টার পর থেকেই সূচকগুলো পয়েন্ট হারিয়ে পতনের শিকার হয়। আজ দিন শেষে ডিএসইর ডিএসইর সবকয়টি সূচক নেতিবাচক ধারাতে চলে যায়, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২৬.১৯ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫৫৬৮.৪৫ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৯৬৭.২২ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গতকাল লেনদেন হয়েছিলো ১,০১৯.০৮ কোটি টাকা।
আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৪ টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৮ টি কোম্পানির, দাম কমেছে ২৬৬ কোম্পানির। আর ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ দিনের শুরুতে সূচক ও লেনদেনে আশা জাগিয়ে দিনশেষে নেতিবাচক ধারাতে বাজার শেষ হবার কারণে বিনিয়োগকারীদের দারুণ হতাশায় পরতে দেখা গেল। শুরুতে আশা জাগিয়ে দিন শেষে বাজার নেতিবাচক ধারাতে চলে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পরেছেন। গতকাল সূচক ৩০ পয়েন্ট বাড়াতে শেয়ারের দাম যা বেড়েছিল, আজকে সূচক ২৬ কমাতে তার চেয়ে বেশি দাম কমে গিয়েছে বেশির ভাগ শেয়ারের।
গতকাল বাজার ভাল যাবার কারণে আজ দিনের শুরুতে অনেক বিনিয়োগকারী নিটিং এর উদ্দেশ্যে শেয়ার কিনে দিন শেষে লস করে আশাহত হতে দেখা গেল।
বাজার নিয়ে টেকনিকাল এনালাইসিস করে এমন একজন অভিজ্ঞ এনালিস্টের সাথে আজকে আলাপ কালে তিনি লেনদেনের শুরুতে জানান, বাজার এর কারেকশন হওয়া উচিত, কিন্তু আসলে তো বাজারে প্রকৃত কারেকশন দেখা যায়না। বাজার কারেকশন শুরু করলে তা পতনে চলে যায়।তিনি জানান বাজারের অনেক বিষয়ের কারনে বাজার প্রকৃত আচরণ করতে পারেনা। তিনি উদাহরণ হিসাবে ৩% সার্কিটকে বাজার কারেকশনের বাধা হিসাবে দায়ী করেন।
আজ ৮/৯ জন বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপ করে জানা গেল তাদের মধ্যে ৫ জনই আজ নিটিং করতে গিয়ে লসের সম্মুক্ষিন হয়েছেন। আজকের বাজারের চিত্র দেখে সহজেই অনুমান করা যায় বহু শেয়ার আজ ট্রেডিং থাকা বিনিয়োগকারীদের এডজাস্ট চাপে পরেছিল।
লেনদেন শেষে এই বিষয়টি নিয়ে বাজারের একজন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান বাজার স্থিতিশীল না থাকলে কখনোই নিটিং করা ঠিক নয়। যদি না হাতে এডজাস্ট দেয়ার মতো ফ্রি টাকা না থাকে। তিনি বলেন বাজারে ইন্সটিটিউট লেভেলের বিওতেও ইদানীং এই নিটিং চলছে, যারা ফলশ্রতিতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।