আজ বৃহস্পতিবার ১৮ ই মে ২০২৩, দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) মূল্য সূচক ও লেনদেন দারুন ইতিবাচক ধারাতে শেষ হয়েছে।
আজ ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন গতদিনের চেয়ে বেশ বেড়েছে। আজ অনেক দিন বাজারে লেনদেনে একটি গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
আজ ডিএসইতে মোট ৯৩২.৯১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত কর্মদিবসে ডিএসইতে ৭১১.৯৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। আজ গত কর্মদিবসের চেয়ে লেনদেন বেশি হয়েছে ২২০.৯৪১ কোটি টাকার।
আজকের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৮.৯৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬২৯০.১৯ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ০.২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৬৮.২৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৯৫.২৮ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে মোট ৩৫৩ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৫ টির, দাম কমেছে ৫৭ টির এবং দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮১ টি কোম্পানির।
আজ ডিএসইতে দাম বৃদ্ধির শীর্ষ ২০ তালিকায় ৮ টি খাতের শেয়ার ছিল, এর মধ্যে ৯টি শেয়ারই ছিল ইন্সুরেন্স খাতের শেয়ার। গতকাল দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় ইন্সুইরেন্স খাতের ১১ টি শেয়ার ছিল। আজ দিনের শুরুতে ইন্সুরেন্স খাতের শেয়ারে দারুন ইতিবাচক ধারাতে শুরু হলেও দিনশেষে কিছুটা বিক্রি চাপ দেখা গিয়েছে।
আজ ডিএসইতে দাম বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা ২০ টি শেয়ারের তালিকা।
অপরদিকে দেশের ২য় শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন গতদিনের চেয়ে কমেছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫.২৪ পয়েন্ট বেড়ে সূচক অবস্থান করছে ১৮৫৩০.৪৪ পয়েন্টে।
আজ সিএসইতে মোট ১২.৭৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গতকাল ছিল ১৫.৩৭ কোটি টাকা। আজ সিএসইতে গত দিনের চেয়ে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার কম শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
আজ সিএসইতে মোট ২১১ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৬ টির, কমেছে ৪৫ টির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ৯০ টি কোম্পানির।
আজ সিএসইতে দাম বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা তালিকায় বেশির ভাগই ছিল ইন্সুইরেন্স খাতের শেয়ার।
আজ সিএসইতে দাম বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা ১০ টি শেয়ার।
আজ লেনদেন চলাকালীন সময়ে কয়েকটি হাউজের অফিসে গিয়ে কিছু বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেল। অনেকদিন পরে ইন্সুইরেন্স খাতের শেয়ারের দাম বাড়ার কারণে এই খাতের যাদের শেয়ার ছিল, এমন বেশ কিছু বিনিয়োগকারীদের বেশ উজ্জিবিত দেখা গেল।
বিনিয়োগকারী মাহামুদ আক্তার আনন্দে আত্মহারা হয়ে বললেন আমার পুরো ফান্ড দিয়ে প্যারামাউন্ট ইন্সুইরেন্স কেনা ছিল, ১৮ শতাংশ লসে থাকার পরেও ফ্লোরে বিক্রি করার জন্যে উতলা ছিলাম, বিক্রি করতে না পেরে আটকা ছিলাম। তারপর বিক্রি করার চিন্তা বাদ দিয়ে দেই। হঠাৎ করে ইন্সুইরেন্স মুভমেন্টে আসার পরে গতকাল আবার বাজার দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম, তাই আজকে হাউজে আসলাম। এসে দেখি ১৮% লস পুনরুদ্ধার করে আজ লাভে আছি। আজ আলহামদুলিল্লাহ ১১% লাভে সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছি, কি যে ভালো লেগেছে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা।
উল্লেখিত বিনিয়োগকারীর মতো অসংখ্য বিনিয়োগকারী ইন্সুইরেন্স খাতের দাম বাড়ার কারণে অনেক খুশি। অনেকেই ইন্সুইরেন্স খাতের শেয়ার বিক্রি করে অন্য খাতের শেয়ার কিনেছে, যা বাজারের জন্যে দারুন ইতিবাচক দিক। এভাবে মৌল ভিত্তিক শেয়ারের ফ্লোর ভেঙে যখন লেনদেন হবে তখন বাজারের চেহারা পালটে যাবে ধারণা করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।