আজ ১৩ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সপ্তাহের ৩য় দিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক কমেছে তবে লেনদেন ঢাকায় কমলেও বেড়েছে চট্রগ্রামে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল সূচক ও লেনদেন উভয়ই গত দিনের চেয়ে কমেছে। আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৩৩.১০ কোটি টাকার শেয়ার। যা গতদিন ছিল ৪৩৫.৪১ কোটি টাকার শেয়ার। আজ ডিএসইতে গত দিনের চেয়ে ২.৩১ কোটি টাকার কম শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনে আজ মূল সূচক ডিএসইএক্স সূচক ১৪.৬৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬২৫৬.১৭ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩.৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৬৮.২৮ পয়েন্টে। ডিএস ৩০ সূচক ৫.৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২২২৬.৬৫ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে মোট ৩০৯ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ২৩ টির, দাম কমেছে ১৪৩ টির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ১৪৩ টির।
অপরদিকে দেশের ২য় শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন গতদিনের চেয়ে বেড়েছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬.৩৫ পয়েন্ট কমে সূচক অবস্থান করছে ১৮৪৬২.১৪ পয়েন্টে।
আজ সিএসইতে মোট ১২.৬১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গতকাল ছিল ৬.৬৬ কোটি টাকা। আজ সিএসইতে গত দিনের চেয়ে ৬.৯৫ কোটি টাকার বেশি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
আজ সিএসই তে মোট ১২৭ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১৬ টির, কমেছে ৬৭ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪ টি কোম্পানির।
আজ উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের শুরুতেই বাজার ইতিবাচক বাচক ধারা দিয়ে শুরু হয় কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে বাজার নেতিবাচক হতে শুরু করে, তারপর বেশির ভাগ সময়ই বাজার ওঠা-নামার মধ্যে ছিল এবং দিন শেষে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকের নেতিবাচক ধারা অব্যাহত রেখে আজকের লেনদেন শেষ করে।
আজ উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেই উল্লেখযোগ্য তেমন কোন ঘটনা পরিলক্ষিত হয়নি। বেশ কিছু হাউজের অফিসার ও বিনিয়োগকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেল, তারা বাজার নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরেছেন। কয়েকজন বিনিয়োগকারী বললেন অবস্থা এমন, “বাজার আমাদের ধৈর্যের ভেগে আমাদের পিঠে পেটাচ্ছে যেন আমাদের”। স্টক লস ও দিতে পারেছেন যারা বিক্রি করে নতুন কোন শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন। আবার নতুন ফান্ডও বিনিয়োগ করার ভরসা ও সাহস পাচ্ছেন না। গত কয়েক দিন বাজার সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু লোকজনের সাথে কথা বলে যা বুঝতে পারা গেল, তাদের মতামত বাজার স্বাভাবিক করতে ফ্লোর প্রাইজ তোলার কোন বিকল্প নেই। আবার একপক্ষ চাচ্ছেন ফ্লোর থাক। ফ্লোর থাকা না থাকা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিস্তর যুক্তিতর্ক চলছে সবখানে। কর্তৃপক্ষের উচিৎ সবকিছু সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ করে একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্তে আসা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে।