আজ ১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সপ্তাহের ৩য় দিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক কমেছে, তবে লেনদেন ঢাকায় কমলেও বেড়েছে চট্রগ্রামে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল সূচক ও লেনদেন উভয়ই গত দিনের চেয়ে কমেছে। আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৩১.৪৯ কোটি টাকার শেয়ার। যা গতদিন ছিল ৪৩৩.১০ কোটি টাকার শেয়ার। আজ ডিএসইতে গত দিনের চেয়ে ১.৬১ কোটি টাকার কম শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনে আজ মূল সূচক ডিএসইএক্স সূচক ১১.১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬২৪৫.০২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১.৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৬৬.৮৪ পয়েন্টে। ডিএস ৩০ সূচক ৪.৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২২২২.০২ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে মোট ৩১০ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ২৭ টির, দাম কমেছে ১৩৭ টির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ১৪৬ টির।
অপরদিকে দেশের ২য় শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও লেনদেন গতদিনের চেয়ে কমেছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭.১৯ পয়েন্ট কমে সূচক অবস্থান করছে ১৮৪৩৪.৯৪ পয়েন্টে।
আজ সিএসইতে মোট ৫.৭৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গতকাল ছিল ১২.৬১ কোটি টাকা। আজ সিএসইতে গত দিনের চেয়ে ৬.৮৬ কোটি টাকার কম শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
আজ সিএসই তে মোট ১৩২ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১৭ টির, কমেছে ৬০ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫৫ টি কোম্পানির ।
আজ উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের শুরুতে কিছুটা সময় বাজার ইতিবাচক বাচক ধারা দিয়ে শুরু হলেও কিছুক্ষণের মধ্যে বাজার নেতিবাচক হতে শুরু করে। এবং দিন শেষে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকের নেতিবাচক ধারা অব্যাহত রেখে আজকের লেনদেন শেষ করে।
বাজারে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেল বাজারের লোকজন দুশ্চিন্তায় আছেন, কখন ফ্লোর উঠে যাবে হঠাৎ করে। সে কারণে বিনিয়োগকারীরা দ্বিধাগ্রস্থ। এ কারণে কিছু বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগ উপযোগি ফান্ড হাতে থাকলেও, তারা বিনিয়োগ করছেন না।
নাম প্রকাশ করার না করার শর্তে একজন বাজার বিশ্লেষক বলেন ফ্লোর প্রাইজ নিয়ে একটি স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত দেয়া উচিৎ কর্তৃপক্ষের। হয় তুলে দিবে না হয় বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করবে যে ফ্লোর তোলা হচ্ছে না একটা তারিখ পর্যন্ত, যা উল্লেখ করা দরকার। এই বিষয়টির একটি সমাধান হওয়া উচিৎ। তাহলে অনেক বিনিয়োগকারী নিশ্চিন্ত হয়ে বিনিয়োগ করতে পারতো।