স্বক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক-২০২৩ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গুণীজনদের হাতে তিনি একুশে পদক তুলে দেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন পদক বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা ও পদক বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর স্বাগত বক্তৃতা করেন।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথি এবং কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ দেশ বরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য এবার একুশে পদক পেয়েছেন খালেদা মনযুর-ই-খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক (মরণোত্তর) ও হাজী মো. মজিবর রহমান।
শিল্পকলায় (অভিনয়) পেয়েছেন মাসুদ আলী খান ও শিমুল ইউসুফ, শিল্পকলায় (সংগীত) মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আব্দুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (আবৃত্তি) জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শিল্পকলায় নওয়াজীশ আলী খান, শিল্পকলায় (চিত্রকলা) কনক চাঁপা চাকমা।
মুক্তিযুদ্ধে মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় মোঃ শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণায় ডঃ মোঃ আবদুল মজিদ, শিক্ষায় প্রফেসর ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর), সমাজসেবায় মো. সাইদুল হক, রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক পেয়েছেন ডঃ মনিরুজ্জামান।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে পদক পেয়েছে- শিক্ষায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবায় অবদানের জন্য বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
সরকারের প্রদত্ত বেসামরিক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হলো স্বাধীনতা পদক। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হলো একুশে পদক। এই পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ৩৫ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননা পত্রের সঙ্গে ৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এই পদক দিয়ে থাকে।