এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ব্যাংক খাতের সংস্কার ও জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৯০ কোটি ডলার ঋণ দেবে ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এডিবি।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে স্থিতিশীল ও সংস্কারের জন্য ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি ডলারের নীতি-ভিত্তিক ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ঋণ অনুমোদন হয়েছে ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি ডলার।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। এই অর্থ ‘জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচির (সিআরআইডিপি)’ দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হবে। এতে আরও সহ-অর্থায়ন যোগ হচ্ছে ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) থেকে ১১৩ মিলিয়ন ডলার এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার।
এডিবির সিনিয়র পাবলিক সেক্টর অর্থনীতিবিদ সমীর খাতিওয়াদা বলেন, ‘এই কর্মসূচি সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে একত্রিত করে জাতীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে সহায়তা করবে। এটি জলবায়ু অর্থায়নের বাধা দূর করে অভিযোজন এবং নির্গমন হ্রাসে গতি আনবে।’
সিআরআইডিপির আওতায় একটি ‘বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব’ গঠিত হবে, যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে জলবায়ু প্রকল্প বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও অর্থায়নে সক্ষমতা দেবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে নারী ও তরুণদের সম্পৃক্ত করে অভিযোজন ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। ফসল বীমা, দুর্যোগ ঝুঁকি বীমা ও জরুরি অর্থ সহায়তার মতো উদ্যোগকেও গুরুত্ব দেয়া হবে।
এছাড়া ঢাকার কৌশলগত পরিবহন মাস্টারপ্ল্যান (২০২৫-২০৩৪) হালনাগাদ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণে বিদ্যুৎ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নেও সহায়তা করবে কর্মসূচিটি। এর মাধ্যমে টেকসই পরিবহন ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবস্থার বিকাশে গতি আসবে।
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কার্বন নির্গমন উচ্চ হারে চলতে থাকে, তবে ২০৭০ সালের মধ্যে দেশের জিডিপি এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত হারিয়ে যেতে পারে। বর্তমানে প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে, যা জিডিপির ০.৭ শতাংশ। তীব্র বন্যার কারণে ২০৫০ সালের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। সেই সময়ের মধ্যে দেশের ১৭ শতাংশ ভূমি এবং ৩০ শতাংশ খাদ্য উৎপাদন হারানোর ঝুঁকিও রয়েছে।
এই কর্মসূচি জলবায়ু অর্থায়নের অভাব, দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও বেসরকারি খাতের সীমিত অংশগ্রহণের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে। পাশাপাশি জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলবে।
Author
-
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' একটি নির্ভরযোগ্য শেয়ার বাজার ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল। অর্থ ও বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রকাশ করে।
View all posts
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' শেয়ার মার্কেটের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সততার সহিত পরিবেশন করে এবং কোন সময় অতিরঞ্জিত, ভুল তথ্য প্রকাশ করেনা এবং গুজব ছড়ায়না, বরং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বদ্ধ পরিকর। এটি একটি স্বাধীন, নির্দলীয় এবং অলাভজনক প্রকাশনা মাধ্যম।