পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত খাদ্য খাতের কোম্পানি এপেক্স ফুড লিমিটেডের (APEXFOODS) গত এপ্রিল মাসের মাসিক হিসাবে হটাৎ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে, মালিকপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার % বেড়ে যাওয়াতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কৌতুহল সৃস্টি হয়েছে। কেন হঠাৎ করে কোম্পানিটির শেয়ার ধারনের % এর এত গড়মিল হল।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ জানুয়ারি ২০২২, তারিখে কোম্পানির পরিচালক এবং কোম্পানির চেয়ারম্যান ও জাফর আহমেদ মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পরে তার ১৩ লাখ ২০ হাজার ৫৩০ কাগজের শেয়ার এবং তার ফলিও নং অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেডের ০০০০১ (যা মোট শেয়ারের শতাংশের দিক দিয়ে যা ২৩.১৫৭ শতাংশ। উল্লেখ্য গত এপ্রিল মাসে ২৫.৫২ শতাংশ শেয়ার মালিকপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শতাংশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে)
তার আইনগত উত্তরাধিকারী মিসেস শওকত আরা আহমেদ, ফলিও নং. ০০০০২ এবং জনাব শাহরিয়ার আহমেদ, ফলিও নং. ০৭২৭৭ একটি উত্তরাধিকার প্রশংসাপত্র নং প্রাপ্ত এবং জমা দিয়েছেন। ১৬৫১ , মামলা নং ৭৯৬/২০২২ মাননীয় তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালত থেকে।
কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে যে, পরিচালনা পর্ষদ বিষয়টি বিবেচনা করে এবং ট্রান্সমিশনের অনুমোদন ও সমাপ্তি করে তাদের শেয়ার দেয়া হিস্যা অনুযায়ী দেয়া হয়েছে। মাননীয় আদালতের আদেশ অনুসারে মিসেস শওকত আরা আহমেদকে ১,৬৫,০৬৬ টি শেয়ার যা শতাংশের দিক দিয়ে ২.৮৯৪ শতাংশ এবং জনাব শাহরিয়ার আহমেদকে (কোম্পানির একজন পরিচালক) যথাক্রমে ১১,৫৫,৪৬৪ শেয়ার যা শতাংশের দিক দিয়ে ২০.২৬৯ শতাংশ।
মূলত যখন শেয়ার ট্রান্সমিশনের অনুমোদন হয় তখন শেয়ার গুলি সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসাবের তালিকায় গিয়েছিল। এরপরে জনাব শাহরিয়ার আহমেদকে যখন কোম্পানির একজন পরিচালক হিসাবে দেখানো হয় তখন সাধারণ বিনিয়োগকারী তালিকা থেকে মালিকপক্ষের তালিকায় যুক্ত হবার কারণে মালিকপক্ষের শতাংশ বেশি হয়েছে।
মূলত আদালতের ফয়সালা হবার পরে জনাব শাহরিয়ার আহমেদকে (কোম্পানির একজন পরিচালক হবার কারণে ) তার পাওয়া শেয়ার যুক্ত হবার কারনেই মালিক পক্ষের শেয়ার বেড়েছে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসের সংশোধিত শেয়ার মালিকানা ধারনের % পরিবর্তনে মালিক পক্ষের শেয়ার বেড়েছে ১৭.৩৩ শতাংশ যেখানে জনাব শাহরিয়ার আহমেদের শেয়ার সংখ্যাই ২০.২৬৯ শতাাং শ।এবং মিসেস শওকত আরা আহমেদ যার প্রপ্য শেেয়ার ২.৮৯৪ শতাংশ।ধারণা করা হচ্ছছে জনাব শাহরিয়ার আহমেদে কিছু ও মিসেস শওকত আরা আহমেদের শেয়ারগুলি কোন প্রতিষ্ঠানের নামে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানিক % বেড়েছে।