পৃথিবীর বড় তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্লাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলো ব্রাজিল। জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের এবারের আয়োজক ব্রাজিলের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে বেশ কয়েকটি দেশ।
তবে ব্রাজিলের দাবি, তেল রফতানির পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস বাড়ানোর কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাবে তারা।
নিজেদের পরিবেশ রক্ষাকারী দেশ দাবি করা ব্রাজিল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তেল রফতানিকারক দেশের সংস্থা ‘ওপেক প্লাসে’ যোগদান করেছে। তেল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি হয়েও বরাবরই নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে উৎসাহ দিয়ে এসেছে দেশটি। এমনকি, চলতি বছরের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজকও ব্রাজিল। সম্মেলনের ঠিক নয় মাস আগে ওপেক প্লাসে যোগ দেয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি।
তবে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার দাবি, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার প্রতিষ্ঠা করতে যে অর্থায়ন প্রয়োজন তা তেল রফতানি করে উপার্জন করা যাবে। ২০২৩ সালে তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়া সিলভা নিজেকে একজন পরিবেশ রক্ষাকারী বলেও দাবি করেছেন। আমাজনে বৃক্ষনিধন বন্ধের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের অধিকার রক্ষায়ও তিনি কাজ করেছেন বলে জানান।
যদিও, গত কয়েক সপ্তাহে দেশটির পরিবেশ কর্মকর্তার ওপর চাপ দিয়ে আমাজন নদীর মুখে খনন কাজ চালানোর অনুমতি নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কথা বলা সিলভা দৃঢ়তার সঙ্গে তেল অনুসন্ধানকে লাতিন আমেরিকার অর্থনীতির চালিকাশক্তি বলে সমর্থন দিয়েছেন।
বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল পৃথিবীর মোট চাহিদার ৪ শতাংশ পূরণ করে থাকে। ২০২৪ সালে ব্রাজিলের রফতানি আয়ের ১৩ দশমিক ৩ শতাংশই এসেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি থেকে। আপাতত, ওপেকে যোগ দিলেও তেল উৎপাদন কমানো বা বাড়ানো নিয়ে কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি ব্রাজিলের ওপর। দেশটির খনিজ ও জ্বালানিমন্ত্রী আলেক্সান্দ্রে সিলভেইরা বলেন, তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে ওপেক প্লাসে যোগ দিতে ব্রাজিলের লজ্জার কিছু নেই।