আজ রবিবার ১২ই মার্চ ২০২৩ তারিখ, সপ্তাহের প্রথম দিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকের পতনে আজকের লেনদেন শেষ হয়েছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল সূচক শুরুতেই ইতিবাচক প্রবনতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়ে, মাত্র ৩০ মিনিট ইতিবাচক ধারাতে লেনদেন হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরে বাজার নেতিবাচক ধারাতে চলে যায়। এভাবে সূচকের নেতিবাচক প্রবনতার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত গত দিনের চেয়ে ২৫.১৮ পয়েন্ট কমে আজকের লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৩৩.৫৮ কোটি টাকার শেয়ার। যা গতদিন ছিল ৫৪৫.৬৮ কোটি টাকার শেয়ার। আজ ডিএসইতে গত দিনের চেয়ে ১১২.১০ কোটি টাকার কম শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে আজ মূল সূচক ডিএসইএক্স সূচক ২৫.১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬২৩৪.৯৮ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩.৪১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৫৮.৯১ পয়েন্টে। ডিএস ৩০ সূচক ৫.৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২২২১.৫৪ পয়েন্টে।আজ ডিএসইতে মোট ৩১১ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১৭ টির, দাম কমেছে ১৩৯ টি এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ১৫৫ টির। অপরদিকে দেশের ২য় শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ৫৪.৮০ পয়েন্ট কমেছে তবে লেনদেন গতদিনের চেয়ে বেড়েছে । আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৪.৮০ পয়েন্ট কমে সূচক অবস্থান করছে ১৮৩৯৫.৩৫ পয়েন্টে। আজ সিএসইতে মোট ২০.৮৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গতকাল ছিল ৯.৭৪ কোটি টাকা। আজ সিএসইতে গত দিনের চেয়ে ১১.১৪ কোটি টাকার বেশি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
আজ সিএসই তে মোট ১৪৯ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১০ টির, কমেছে মাত্র ৬৪ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৫ টি কোম্পানির। শেয়ার বাজারকে কিছুতেই ছাড়ছেনা গুজব ও আতঙ্কের খবর। সারাবিশ্বে নেতিবাচক কিছু হলেই, তার প্রভাব পরে আমাদের শেয়ার বাজারে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য অন্য দেশের পজিটিভ নিউজে আমাদের বাজারে কোন পজিটিভ প্রভাব পরেনা। গতকাল রাত থেকে ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কমের ফোন নাম্বারে ফোন করে জানতে চেয়েছেন বেশ কিছু বিনিয়োগকারী, প্রায় সবার এক রকমের প্রশ্ন আমিরিকার একটি ব্যাংক দেউলিয়া হয়েছে, এই খবরে আমাদের বাজারের মূল্য পতন হবে কিনা। ফেসবুকে দেখা গিয়েছে একধিক লোক আগামিকাল বাজার মাইর হবে, বাজার পতন হবে ইত্যাদি ইত্যাদি লিখে ছড়িয়েছে। মোট কথা বাজারের গুজব ও আতঙ্ক যেন কমছেই না। দিন দিন বাড়ছে গুজবের পরিমান, বেড়েই চলছে। গুজব ও আতঙ্ক ছড়িয়ে এক জাতীয় লোক পৈশাচিক আনন্দ পান। আমাদের উচিৎ না জেনে, না বুঝে কোন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আজগুবি পোস্ট না দেয়া। পাশাপাশি কোথাও কোন নেতিবাচক খবর দেখেই সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে কোন খবর সোসাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে না দেয়া, এবং আতঙ্কিত না হওয়া ও আতঙ্ক না ছড়ানো।