বিদ্যুৎ উৎপাদনে এলএনজি এবং কয়লার সংকট দূর হবে। গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি করে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পেট্রোবাংলা থেকে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের শেষ বা আগামী মাসের শুরু থেকে স্পট মার্কেটের এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে।
এর বাইরে রামপাল এবং পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রর কয়লা সরবরাহ ঠিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার সরবরাহ করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে গ্রীষ্মে জ্বালানি সংকট নিয়ে যে আলোচনা শুরু হয়েছিল। এরপর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর জ্বালানি সরবরাহে দুই কেন্দ্রকেই ডলার দেওয়া হয়।
গ্রীষ্মের চাহিদা মেটানোর জন্য, সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি এলএনজি আমদানির ক্রয় প্রস্তাব ইতোমধ্যে অনুমোদন করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দাম বেড়ে যাওয়াতে গত বছরের শেষ দিকে সরকার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করে দিলে, দেশে জ্বালানি সংকট দেখা দেয়। এতে বিদ্যুতে শিডিউল লোডশেডিং করা হয়।
সরকারের তরফ থেকে এক ঘণ্টা লোডশেডিং এর কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে লোডশেডিং তার চাইতেও বেশি হয়েছে।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানিও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘গ্রীষ্মে এবার সংকট হবে না। এভাবেই জ্বালানি আমদানি করা হচ্ছে।’ তিনি সেচ এবং গ্রীষ্মের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।