টানা ৯ কর্ম দিবস পরে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক শুরু থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত টানা ২ ঘন্টা ইতিবাচক ধারাতে লেনদেন চলছে।
তবে সূচক ইতিবাচক ধারাতে চললেও লেনদেনের গতি খুবই কম ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের, তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনের গতি গতকালের চেয়ে ভালো।
গত কয়েকদিন যে সব শেয়ার বেড়েছিল সেই শেয়ার গুলি গত ৪/৫ দিনে যে গতিতে বেড়েছিল তারচেয়ে বেশি গতিতে দামের পতন ঘটেছে।
বিনিয়োগকারীরা বুঝতেই পারছেন না কি হচ্ছে। এই বাড়ছে তো মূহুর্তেই আবার কমে যাচ্ছে, আবার কোন শেয়ার বামে হ্যাং হয়ে যাচ্ছে পরক্ষণেই আবার ইতিবাচক হচ্ছে, ভয় পেয়ে অনেকে স্টক লস দিচ্ছে। এক কথায় মানুষজন দারুন হতাশার মধ্যে দিয়ে বাজার অবলোকন করছে।
মুহুর্তের মধ্যে শেয়ারের আচরণ দেখে মানুষজন দারুন ভাবে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন, ট্রেডিং করতেই পারছেন না। আজ যে সব শেয়ার টপ গেইনিং তালিকাতে থাকছে কাল সেটা চলে যাচ্ছে টপ লুজার তালিকাতে।
তবে আজ ৯ কর্ম দিবস পরে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক শুরু থেকে ইতিবাচক ধারাতে লেনদেন হবার কারণে কিছুটা আশাবাদী হতে দেখা গেল বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজের অফিসার ও বিনিয়োগকারীদের। তারা আশা করছেন রমজান মাসে আল্লাহ বরকত দিবেন।
আজকের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মূল্য সূচক শুরু থেকেই ইতিবাচক ধারাতে লেনদেন চলছে। আজ ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ শেয়ারের দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিএসইতে ১৩৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬,২১২ পয়েন্টে। অন্য সূচক গুলো ইতিবাচক ধারাতে লেনদেন চলছে।
অপর দিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ইতিবাচক ধারাতে লেনদেন চলছে। আজ সিএসইতে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৫ কোটি ০৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।