বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হল পোশাক শিল্প, এই শিল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর অর্জিত মোট বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানা গড়ে উঠেছে ৮০ দশকের ও আগে থেকেই, তবে ৯০ দশকেরপরে দেশে অনেক বড় বড় কারখানা গড়ে উঠেছিল। এসব কারখানায় প্রচুর উন্নতমানের কাপড় তৈরি হয়, যার সিংহভাগ কাপড়ই বিদেশে রপ্তানি হয়।
পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে লক্ষ–লক্ষ নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করছে, ইদানীং হাজার হাজার উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ –তরুণীরাও এই শিল্পে জীবিকার জন্যে কাজ করছে। এক কথায় বলা যায় বাংলাদেশের সেরা খাত এখন টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্প।
কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য দেশের প্রধান এই খাতটি বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে উপেক্ষিত।
অবশ্য করোনা শেষকালে টেক্সটাইল মার্কেট খুব ভালো ছিল প্রতিটি শেয়ারের দাম বেশ বেড়েছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে এই শেয়ার গুলোর লেনদেনই হচ্ছেনা। ভালো করছেনা, তার কারণ হয়তো যথেষ্ট আছে।
তবে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের জন্য বর্তমানে তেমন অর্ডার নেই, কিন্তু আমি মনে করি খুব শীগ্রই বাজার ভালো হয়ে যাবে অনেক অর্ডার আসবে। বিশ্বের সব ব্যান্ডের দোকানে আমাদের দেশের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ,ভবিষ্যতে এ খাত আরও ভালো হবে বলে আমি খুবই আশাবাদী।
সরকারকে এই খাত নিয়ে উদ্যোগ উদ্যোগ নিতে হবে এবং বন্ধ টেক্সটাইল গুলির সমস্যা সমাধান করতে হবে। টেক্সটাইল সেক্টর যদি কোন সমস্যায় পরে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে যাবে।
টেক্সটাইল আমাদের এই সেক্টর সোনালী আশের মতো, পৃথিবীর যতটা দেশ আছে নতুন নতুন দেশে গিয়ে আমাদের টেক্সটাইল নিয়ে মেলা করতে হবে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসানের সাথে সাথে আমাদের সোনালী দিন আসবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে যাবে এই একটা সেক্টর থেকে হাজার হাজার কোটি ডলার আসবে, প্রতিটি দেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে বাংলাদেশেরঅর্থনীতিতে মোট জাতীয় আয়ে টেক্সটাইল শিল্পের অবদান সিংহভাগ। বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান শিল্পগুলো হচ্ছে পাটশিল্প, চিনিশিল্প, ওষুধশিল্প, সারশিল্প, কাগজশিল্প ও চামড়াশিল্প।
আমাদের বাংলাদেশের টেক্সটাইল বিশ্বে অনেক খ্যাতি আছে। প্রচুর ব্যবসা করছে সেই হিসাবে শেয়ার বাজারে প্রতিটি টেক্সটাইলের বাজার মূল্য অন্তত ১০০ টাকা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টেক্সটাইলে অনেক ফাঁক ফোঁকর রয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা থেকে স্বচ্ছ তদন্ত করা উচিত। কেন বারবার শেয়ার বাজারে নাম সর্বস্ব বাজে কোম্পানি আসছে, ভালো কোম্পানি গুলি কেন আসছে না।
সরকারের এই খাতকে যেভাবেই হোক বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বিশেষ ভাবে টেক্সটাইল শিল্প ভবিষ্যতে অনেক দূর যাবে আমরা সোনালী দিনের অপেক্ষায় আছি। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে ও টেক্সটাইল খাতের সব ভাল মানের কোম্পানিগুলিকে তালিকাভুক্ত করলে বাজার উন্নয়ন হবে, পাশাপাশি সরকারের রাজস্বও বাড়বে। সরকার উদ্যোগ নিলে ভালো কোম্পানি গুলো শেয়ার বাজার থেকে টাকা তুলে তাদের শিল্পের উন্নয়ন করবে। সরকারের উচিৎ ব্যাংক নিয়ে ঋণ নিয়ে যাতে কোম্পানি গুলো ব্যবসা না করে। সেদিকে খেয়াল রাখা, কেননা দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে দেশের ব্যাংক খাতের সমস্যা হতে পারে।
আনোয়ার আলমগীর
সিলেট
3 Responses
অনেক সুন্দর লিখেছেন।
আমাদের মতো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য আনোয়ার ভাই অনেক লেখালেখি করেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আল্লাহ তায়ালা প্রিয় ভাই কে নেক হায়াত দান করুন।
চমৎকার লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা । অনেক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় প্রকৃত সত্য ফুটিয়ে তুলেছেন ।