দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি গত বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ভালো পরিমান লাভ করলেও লাভের টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে ডলারের দাম বাড়ার কারণে। বেশ কিছু কোম্পানির ফিনান্সিয়াল রিপোর্ট দেখে দেখে জানা গেল গত বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে যে টাকা আয় করেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০/৩০ শতাংশ বেশি।
বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত পন্য মূল্যবৃদ্ধি ও বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধির কারণেই বাড়তি আয় হয়েছে। তারপরও অনেক কোম্পানির কোম্পানির মুনাফা আগের বছরের চেয়ে প্রায় কম হয়েছে। উৎপাদনমুখী কোম্পানি গুলোর কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ডলারের বাড়তি দামই ছিল মুনাফা কমার বড় কারণ।
মুদ্রার অবমূল্যায়ন, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, উচ্চ আমদানি মূল্য এবং বর্ধিত অর্থায়ন খরচের কারণে খরচ বৃদ্ধির কারণে একত্রিত EPS কমেছে যা গ্রুপের সামগ্রিক মুনাফাকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করেছে। আসন্ন মাসগুলিতে ব্যবসা বৃদ্ধির সুবিধার্থে কার্যকরী মূলধনে বিনিয়োগের কারণে একত্রিত NOCFPS হ্রাস পেয়েছে।
বেশ কয়েকটি বড় বড় কোম্পানির ফাইনান্স ডিপার্টমেন্টের সাথে কথা বলে জানা গেল, ডলারের বাড়তি দামের কারণে তারা কোটি টাকা মুনাফা হারিয়েছে। এছাড়া ডলারের বাড়তি দামের কারণে কোম্পানি গুলোর বিদেশি ঋণ পরিশোধে সুদ বাবদ খরচ বেড়েছে অনেক টাকা। অনেক কোম্পানি তাদের উৎপাদিত পন্যের দাম বাড়িয়েও মুনাফা বাড়াতে পারেনি এ বছর।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে কাঁচামাল ও জাহাজ খরচ বেড়ে যাওয়ার পরও বেশ কিছু বড় কোম্পানি লাভ ভালো লাভ করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিট মুনাফা কমে গেছে ডলারের বাড়তি দামের প্রভাবের কারণে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় গত বছরের শেষ ছয় মাসে বেশিরভাগ কোম্পানির খরচ বেশি হয়েছে। ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকলে কোম্পানি গুলো ভালো মুনাফা করত।