গতকাল (২০ মে) তালিকাভুক্ত কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বিএসইসি নতুন নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে। নতুন এ আদেশ আগামী ২ জুলাই ২০২৪, থেকে কার্যকর হবে।
নির্দেশনা হলো :
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি ঘোষনাকৃত লভ্যাংশের ৮০ শতাংশ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ বা বিতরণে ব্যর্থ হলে সেটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হবে।
সর্বশেষ ঘোষিত লভ্যাংশের পর থেকে কিংবা তালিকা ভুক্তির পর থেকে টানা দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলে সেই কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে।
আইন অনুসারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজনে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রেও ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হবে।
তবে কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়ার কারণে এজিএম আয়োজন করতে না পারলে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
কোনো কোম্পানির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ছাড়িয়ে গেলে ওই কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা যাবে।
কোনো কোম্পানির উৎপাদন বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম ন্যূনতম ছয় মাসের জন্য বন্ধ থাকলে সেক্ষেত্রে সেই কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। তবে যদি পুনঃসংস্কার কিংবা বিএমআরই কিংবা দৈব দুর্ঘটনাজনিত কারণে উৎপাদন বন্ধ থাকলে সেক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।
যদি তালিকাভুক্ত কোম্পানি অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ (স্টক বা বোনাস ব্যতীত) ঘোষণা করে এবং বিতরণ করে তাহলে স্টক এক্সচেঞ্জের বিধি অনুসারে এ লভ্যাংশকে কোম্পানির শ্রেণীকরণ সমন্বয় বা স্থানান্তরের জন্য বিবেচনা করা হবে।
ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ছাড়া জেড ক্যাটাগরিভুক্ত অন্য কোনো কোম্পানির উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালকদের শেয়ার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। বিএসইসির অনুমতি ছাড়া তারা ওই কোম্পানির কোনো শেয়ার কিনতে, বেচতে বা হস্তান্তর করতে পারবেন না।
জেড ক্যাটাগরিতে থাকা শেয়ার স্পট মার্কেটে ৩ দিন লেনদেন হবে এবং জেড ক্যাটাগরিতে থাকা শেয়ার T+3 ভিত্তিতে শেয়ারের লেনদেনের নিষ্পত্তি হবে।
নতুন এ আদেশের মাধ্যমে এর আগে ২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ও চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির জারি করা আদেশ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রদ কিংবা প্রাধান্য দেয়া হবে।