দেশের উভয় শেয়ারবাজারে টানা সূচকের পতনে দিশেহারা হয়ে পরেছে দেশের আপামর বিনিয়োগকারীরা। কোন কিছুতেই থামছে না বাজার পতন।
বাজার বিশ্লেষকরাও খুঁজে পাচ্ছেন না বাজার কেন এত পতন হচ্ছে।
দেশ- বিদেশের যে কোন নেগেটিভ খবরে শেয়ারবাজারে পতন হচ্ছে। যেন সারা বিশ্বের সাথে দেশের শেয়ার বাজারের সম্পর্ক রয়েছে।
চলতি মাসে সূচকের অব্যাহত দরপতনে, বিশেষ করে গত ঈদ পরবর্তী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে ৫ কার্য দিবস সূচকের পতনে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরেছেন। বাজার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া সত্তেও কিছুতেই যেন কিছুই হচ্ছেনা।
চলতি সপ্তাহে বেশ কয়েকটি হাউজের অফিস ঘুরে দেখা গেল হাউজের অফিসারদের মধ্যে কোম প্রান চাঞ্চল্যতা নেই। বেশ কয়েকজন জন বিনিয়োগকারীর সাথে বাজার নিয়ে সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে তারা কিছুই বলতে চাচ্ছেন না। তাদের সবার এক কথা দেশের সবকিছু ভালো ভাবে চললেও, কেন শেয়ার বাজার এমন ভাবে মুখ থুবড়ে পরে আছে।
দেশের শেয়ার বাজার কি সরকারের উন্নয়ন এর মধ্যে পরে না? কেন এই সেক্টর অবহেলিত? কেন এই সেক্টর নিয়ে সরকারের লোকজন কথা বলতে চায় না। দেশের সব কিছুর উন্নয়ন হলেও শেয়ার বাজারের উন্নয়ন কেন হচ্ছেনা। ফাইন্যান্সের শিক্ষক বিনিয়োগকারী জানান, দেশের শেয়ার বাজার যতদিন অব্দি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখতে পারবে না, ততোদিন আমাদের এমন ভাবে আহাজারি করতে হবে।
এই বিষয়টি নিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে এমন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তার সাথে টেলিফোনে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে জানান, আসলে শেয়ার বাজারের স্বাভাবিকতা নেই বহুদিন যাবৎ। তাছাড়া ২০১০ পরবর্তী বাজারের অস্থিরতার কারণে শেয়ার বাজার নিয়ে রাজনৈতিক লোকজন দূরে থাকেন। ২০১০ সালে বহু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অনেক টাকা লস করেছেন, তারপর থেকে শেয়ার বাজারে তেমন কোন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শেয়ার ব্যবসার সাথে নেই। তাদের শেয়ার বাজার নিয়ে ধারণা কম, যে কারণে দেশের ভিতরে সব সেক্টর নিয়ে আলোচনা হলেও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে শেয়ার বাজার নিয়ে কোন আলাপ আলোচনা হচ্ছেনা।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন বর্তমান ইনটেরিম সরকার ব্যাংক ও আর্থিখাতের বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন আছেন। এভাবে কাজ করলে এবং নির্বাচন হলে ভবিষ্যতে বাজার স্বাভাবিক হবে, বাজারে প্রানচানঞ্চলতা ফিরে আসবে।