চলছে আমের মৌসুম। এই সময়ে আম না খেলে কী হয়! বাংলাদেশের গর্ব করার যদি দুটো খাদ্য থাকে, তার মধ্যে একটি হলো ইলিশ এবং আরেকটি হল আম। অনেকের মতে আম পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্বাদু ফল।দেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল হলেও আসলে আম হচ্ছে ফলের রাজা।
আমের স্বাদ নিয়ে নাইবা লিখলাম – আমের পুষ্টিমানটা জেনে নেয়া যাক।
১০০ গ্রাম আমে (স্লাইস করা) পাবেন:
এনার্জি – ৬০ ক্যালরি
কার্বোহাইড্রেট – ১৫ গ্রাম (এর মধ্যে সুগার ১৪ গ্রাম)
প্রোটিন – ০.৮ গ্রাম
ফ্যাট – ০.৪ গ্রাম
ফাইবার – ১.৬ গ্রাম বা দৈনিক চাহিদার ৬%
ভিটামিন সি – দৈনিক চাহিদার ৬০%
ভিটামিন এ – দৈনিক চাহিদার ৬%
ভিটামিন ই – ৬%
ভিটামিন বি৬ – ৭%
ফলেট – ১১%
ভিটামিন কে – ৪%
পটাসিয়াম – ৪%
ম্যাগনেসিয়াম ৩%
কপার – ১২%
কেন আম খাব?
পুষ্টিমান উন্নত বিশেষত ভিটামিন সি, ক্যালরি লেভেল কম। আছে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট, ইমিউনিটি বুস্টিং করে। ডাইজেশন উন্নত করে (এনজাইম ও ফাইবার) চোখ ও হার্টের স্বাস্থ্য উন্নয়ন করে। কতিপয় ক্যান্সার প্রতিরোধক।
তাহলে, কেন নয় আম?
কার্বাইড ও কেমিক্যালমুক্ত আম খান। সবচেয়ে ভাল গাছে পাকা আম। পরিপক্ব কাঁচা আম ঘরে পাকিয়ে খেতে পারেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ বোতলজাত আমের জুস অত্যন্ত ক্ষতিকর। যাদের মেদভুঁড়ি ও ডায়াবেটিক সমস্যা আছে, তাদের সতর্কতার সাথে আম খেতে হবে। কারণ আমে সুগারের পরিমাণ অনেক বেশি।