বাংলাদেশের কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যাংকের অ্যাপের মাধ্যমে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ও অন্য গ্রহনযোগ্য ব্যাংকের যে কোন কার্ড থেকে সব ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে চালু হয়েছিল Bangla QR কোড ভিত্তিক লেনদেন পদ্ধতি।
ফলে গ্রাহকদের এখন আর বিভিন্ন পেমেন্ট নেটওয়ার্কের আলাদা কিউআর কোড স্ক্যান করতে হয়না। এই পদ্ধতিতে লেনদেনের জন্য একক ব্যক্তি হিসাবে দৈনিক লেনদেনের সীমা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলার এর মাধ্যমে ব্যক্তি হিসাবের সর্বোচ্চ লেনদেনের সীমা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার ৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সকল ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, বাংলা কিউআর কোড ভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একক ব্যাক্তি হিসাবে দৈনিক লেনদেনের সীমা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা রহিত করা হলো। তবে ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান গুলো নিজস্ব ঝুঁকি বিবেচনায় মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে লেনদেনের জন্য একক লেনদেনর সীমা, দৈনিক লেনদেনের সীমা ও লেনদেনের সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবে।
সন্দেহ জনক ও বড় অংকের লেনদেন গুলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিলো, ‘বাংলা কিউআর’ ভিত্তিক আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক লেনদেন দেশে কার্যরত সব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালনা বা সম্পন্ন করা যাবে। ‘বাংলা কিউআর’ ভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ধার্যকৃত ফি ও চার্জগুলো প্রযোজ্য হবে।
‘বাংলা কিউআর’ প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ব্যাংক বা পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডর, পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটর, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডর প্রতিষ্ঠান গুলো প্রয়োজনীয় গ্রাহক, মার্চেন্ট সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
বর্তমানে রাজধানীর মতিঝিলে প্রায় ১,২০০ মার্চেন্ট ‘বাংলা কিউআর’ কোডের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে লেনদেন করছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ জানুয়ারি প্রথম দিনে ৩০৩টি লেনদেনের মাধ্যমে ১২ হাজার ৫৩৪ টাকা এবং ১ ফেব্রুয়ারি ৪৫৩টি লেনদেনের মাধ্যমে ১ লাখ ২২ হাজার টাকা লেনদেন হয়। গেল ৪ ফেব্রুয়ারি লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।