আজ রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ তারিখে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭৫২.৭৪ কোটি টাকার শেয়ার।অপরদিকে আজ লেনদেনের শীর্ষে থাকা টপ ২০টি শেয়ার এর লেনদেন হয়েছে মোট ৪৮৫.৪০ কোটি টাকার।
আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৪৭ টি কোম্পানির, এর মধ্যে লেনদেনে শীর্ষে থাকা টপ ২০ টি কোম্পানি বাদ দিলে বাকি ৩২৭ টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে মাত্র ২৬৭.৩৪ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য আজ বাজারে একটি শেয়ারের ই লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি টাকার।
আজ লেনদেন চলাকালীন ও লেনদেন শেষে বেশ কয়েকটি হাউজের অফিসার ও বিনিয়োগকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেল তারা বিষনভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরেছেন।কয়েকজন বিনিয়োগকারীর অভিমত বাজারে লেনদেন ঠিক হচ্ছে কিন্তু হাতেগোনা ৪০/৫০ টি কোম্পানির লেনদেন হচ্ছে ঘুরেফিরে । পেপার বা মিডিয়াতে বাজারের রসাত্মক খবর শোনা গেলেও আসলে আমাদের কোন অবস্থান নেই।কয়েকজন আক্ষেপের সাথে বলেছেন,কিছু শেয়ারের দাম বাড়বে, বাড়তে পারে এমন বিষয় জানা বোঝার পরে ও ফ্লোরে আটকে থাকার কারণে শেয়ার কিনতে পারছেন না।ইচ্ছা থাকা সত্তেও স্টপ লস দিতে পারছেন না অনেকে।পাশে থাকা ২ /৩ জন্যের মন্তব্য নতুন কিছু না কিনতে পারলেও তারা অন্তত হতাশ নন কেননা তাদের টাকা কমছে না।
উল্লেখ্য ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে বাজার খারাপ যাচ্ছিল, তখন বাজারের পতন ঠেকানো যাচ্ছিল না, এ অবস্থাতে তখন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বাধ্য হয়ে পতন থামাতে জুলাই মাসে ফ্লোর প্রাইজ নির্ধারণ করে দিয়েছিল।ফ্লোর প্রাইজ বেধে দেয়ার পরে সাময়িক বাজার পতন রোধ হলে ও তারপর থেকে বাজার কিছুটা স্লো গতিতে আগাচ্ছে।ফ্লোর দেয়ার পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংশোধন নিয়ে আসলেও ফ্লোর নিয়ে বাজারে এখন দুটি পক্ষের পক্ষ,বিপক্ষে মতামত দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এই বিষয় গুলি নিয়ে বাজার সংশ্লিষ্ট একজন অভিজ্ঞ বাজার বিশ্লেষকের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজার কে তার সাভাবিক অবস্থাতে ফিরিয়ে দিতে হবে বাজারের প্রকৃত সাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে হলে।
একটি রেসপন্স
ফ্লোর প্রাইজ বাজারকে নস্ট করে দিচ্ছে দিনকে দিন।