বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বিরুদ্ধে বিএসইসির কর্মকর্তাদের আন্দোলন ও সার্বিক বিষয়টি নজরে নিয়ে দ্রততায় সিদ্ধান্ত দেয়া উচিত সরকারের। নাহলে সর্বোপরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শেয়ার বাজারের।
প্রফেসর খায়রুল ও শিবলী সাহেবের সময় শেয়ার বাজারে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম এবং দুর্নীতি হয়েছে। শেয়ার বাজার গত ১৫ বছরে আজেবাজে নামসর্বস্ব কোম্পানি তালিকাভুক্ত করে শেয়ার বাজারের ভিত্তি নস্ট করে দিয়েছে।
তখন বিএসইসির কর্মকর্তারা কোন আওয়াজ করেনি। কেননা তখন নিজ নিজ পদে থেকে দুর্নীতির আশ্রয়ে টাকা কামিয়েছেন কিছু অসাধু কর্মকর্তা। যেমন খুশি তেমন চাকুরী করে ছিলো, ছিলোনা কোন জবাবদিহিতা।
আরও পড়ুন…
বিএসইসির সংকট দ্রুত সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ চায় ডিবিএ
গত ১৫ বছরে প্রফেসর খায়রুল ও শিবলী সাহেবের সময় শেয়ার বাজারে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম এবং দুর্নীতি হয়েছে। শেয়ার বাজারে এত বেশি অনিয়ম এবং দুর্নীতি হয়েছে, তখন বিএসইসির কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি।
এখন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ কমিশন যখন দুর্নীতির বন্ধে তৎপর হয়েছেন, সঠিক ভাবে হিসাব করছেন। কর্পোরেট নিয়ম অনুযায়ী কাজের হিসাব চাচ্ছেন তখন চেয়ারম্যান খারাপ হয়ে গিয়েছেন সবার কাছে।
সার্বিকভাবে বোঝাই যাচ্ছে, প্রফেসর খায়রুল ও শিবলী সাহেবের আমলের দুর্নীতিতে বিএসইসির কিছু অসাধু কর্ম কর্তাদের ও হাত আছে।
যেই দেখল সাইফুর রহমানকে শাস্তি দিয়ে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে দিল, তখন অন্য দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শাস্তির ভয়ে বিসেক চেয়ারম্যানের পিছনে বাজে ভাবে লেগেছে। কেননা এরপর তাদেরও শাস্তি পেতে হতে পারে।
আরও পড়ুন…
চেয়ারম্যান ও ৩ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে কর্মবিরতি বিএসইসিতে
তবে এ কথা ও ঠিক রাশেদ মাকসুদ কমপ্লায়েন্স ও এডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে বিএসইসি কে ঠিক মতো পরিচালনা করতে পারলেও তার কিছু ভুল সময়ে নেয়া সিদ্ধান্তে বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যে কারণে বাজারের প্রতি মানুষের আস্থা পুনরায় নস্ট হয়ে গিয়েছে।
বর্তমান এই প্রেক্ষাপটে আন্দোলনরত বিএসইসির কর্ম কর্তাদের নিয়ে বিএসইসি পরিচালনা করা চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ জন্যে অত্যান্ত জটিল ই হবে।
তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে এখন সরকারের উচিত যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত বিএসইসিকে ঢেলে সাজানো, শেয়ার বাজারের প্রকৃত উন্নয়ন করতে চাইলে।