ঢাকা শেয়ার বাজার

৮ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার ২৩ কার্তিক ১৪৩২

বিকাশ থেকে এখন থেকে ঋণ নেয়া যাবে ৫০ হাজার টাকা

সবার আগে শেয়ার বাজারের নির্ভর যোগ্য খবর পেতে আপনার ফেসবুক থেকে  “ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম” ফেসবুক পেজে লাইক করে রাখুন, সবার আগে আপনার ওয়ালে দেখতে। লাইক করতে লিংকে ক্লিক করুন  facebook.com/dhakasharebazar2024

আলোচিত মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশের গ্রাহকের ডিজিটাল ঋণের সীমা আরও বাড়িয়েছে বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংক। বর্তমানে বিকাশের গ্রাহকেরা ঋণমানের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন। এই সীমা বাড়িয়ে এখন ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

গতকাল  বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিকাশ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে ঋণ নেওয়ার যোগ্য বিকাশ গ্রাহকেরা যেকোনো সময়, যেকোনো প্রয়োজনে বিকাশ অ্যাপ থেকে জামানত ছাড়া ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। তবে কে কত ঋণ পাবেন, সেটি নির্ভর করবে ব্যবহারকারীর লেনদেন ও ঋণমানের অতীত রেকর্ডের ভিত্তিতে।

বিকাশ জানিয়েছে, এত দিন ডিজিটাল ন্যানো ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৩০ হাজার টাকা। তবে গ্রাহকের চাহিদা, আস্থা ও দ্রুত ঋণ পাওয়ার সুবিধাকে মাথায় রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে এই ঋণসীমা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত উন্নীত করা হয়েছে।

সিটি ব্যাংক ও বিকাশের যৌথ উদ্যোগে ২০২১ সালে এই ডিজিটাল ন্যানো ঋণসেবা চালু করা হয়। চালুর পর এখন পর্যন্ত ১০ লাখ গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে সিটি ব্যাংক থেকে ৫৫ লাখ বারের বেশি ডিজিটাল ঋণ নিয়েছেন। টাকার অঙ্কে এই ঋণের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

বিকাশ হিসাবে গ্রাহকের লেনদেন পর্যালোচনা ও সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট নীতিমালা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকের ঋণ গ্রহণযোগ্যতা ও ঋণের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। আর যাঁরা এখনো ডিজিটাল ঋণসেবার আওতায় আসেননি, তাঁরা নিয়মিত বিকাশ ব্যবহার করে অ্যাড মানি, সেভিংস, পেমেন্টসহ বিভিন্ন সেবা নিলে ঋণ পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠতে পারেন।

ঋণ নেওয়া ও পরিশোধের পদ্ধতি

প্রথমেই বিকাশ অ্যাপের ‘লোন’ আইকনে ট্যাপ করে সিটি ব্যাংক অনুমোদিত সীমার মধ্যে কাঙ্ক্ষিত ঋণের পরিমাণ লিখতে হবে। পরের ধাপে গিয়ে ঋণের শর্তগুলো ভালোভাবে পড়ে ও বুঝে সম্মতি দিতে হবে। এরপর বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন দিয়ে ট্যাপ করে ধরে রাখলেই তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশ হিসাবে ঋণের টাকা যোগ হয়ে যাবে।

ঋণের ধরন অনুযায়ী গ্রাহককে মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত তারিখে কিস্তির টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিকাশ হিসাব থেকে কেটে নেওয়া হবে। তবে গ্রাহক চাইলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আংশিক বা সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে শুধু ব্যবহার করা সময়ের জন্যই সুদ পরিশোধ করতে হবে। অগ্রিম পরিশোধের জন্য কোনো অতিরিক্ত চার্জ কাটা হবে না।

বিকাশ জানিয়েছে, কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা ও সফলতার ভিত্তিতে এই ডিজিটাল ঋণ দেশের আর্থিক প্রযুক্তিসেবার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এ কারণে ঋণের পরিমাণ আরও বাড়ানো হয়েছে।

Author

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আপনি এটাও পড়তে পারেন
শেয়ার বাজার

আপনি এই পৃষ্ঠার কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না।