পুঁজিবাজারে ক্রান্তিকাল চলছে বহুদিন যাবৎ। গত কয়েক বছর ধরে নানান ধরনের টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে, ধুকে ধুকে বাজার চলছে। এই অবস্থা এখনই কাটছে এমনটি বলা যাবে না।
মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে এ বাজারের অবস্থান অনেক ওপরে থাকার কথা ছিল। কিন্তু বিস্ময়, নেই। বাজারে চাহিদা নেই। শেয়ার বিক্রির তেমন কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে বিএসইসির কি কিছুই করণীয় নেই? আমাদের খেয়াল রাখতে হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বাজারে ফেরার সুযোগ যেন ব্যাহত না হয়।
অতীতে দেখা গেছে যখনই বাজার উন্নতির দিকে যাত্রা শুরু করে, ঠিক তখনই কিছু অশুভ শক্তির তৎপরতা বেড়ে যায়। নানা ধরনের কারসাজি করা কুচক্রি মহল সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ সময় উপযুক্ত নজরদারির অভাবে বাজারে ফের সংকট সৃষ্টি হয়। এতে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়, বাজারে অস্থিরতা বাড়তে থাকে, ক্ষতিগ্রস্থ হয় বিনিয়োগকারীরা। এই পরিস্থিতিতে তারা ফের বাজার বিমুখ হতে শুরু করেন।
এক্ষেত্রে পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হতো, তাহলে এমনটি ঘটার সুযোগ কমে আসতো। বাজারের কাঠামো অধিক মজবুত করা দরকার। প্রচলিত আইনের সঠিক ব্যাবহার অতি জরুরী। এখানেই যে সর্ষের ভুত বা অক্ষমতা কিংবা সুচিন্তার বড়ই অভাব।
বাজার সংশ্লিষ্ট সংস্থা গুলোকে বাজার উন্নয়নের পাশাপাশি বিনিয়োগ নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সব সময় কাজ করে যেতে হবে। এটি এক-দুদিনের কাজ নয়, সব সময়ের জন্যই ধারাবাহিক কাজ। এই কাজ কখনোই থামানো উচিত নয়, দেশ ও দশের জন্য। সে শুনিয়ম অনুযায়ী কাজ করা জরুরি।
মনে রাখা আবশ্যক মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ নিয়ে পুঁজিবাজার নয়, পুঁজিবাজার সবার। এবং অনেকাংশে পুঁজিবাজার কেমন অবস্থানে আছে, তার অনুপাতেও দেশের মাপকাঠিও হিসাব করা হয় আন্তর্জাতিক ভাবে।