বেড়েই চলছে স্বর্ণের দাম, তৃণমূল পর্যায়ের স্বর্ণকারদের আদিম পেশা হুমকির মুখে।যা অবস্থা দাড়িয়েছে মুদ্রাস্ফীতির এই চাপে সাধারণ মানুষ আর সোনা ব্যবহার করতে পারবেনা।শুধু ব্যবহারকারী নয় সোনার এই লাগামহীন দাম বাড়ার ফলে তৃনমুল পর্যায়ের ছোট ছোট সোনার কারীগর(স্বর্ণকার)দের আদিম পেশা হুমকির মুখে দাড়িয়েছে।মুদ্রাস্ফীতির চাপে সাধারণ আমজনতার ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবার ফলে তৃনমুল পর্যায়ের ছোট ছোট সোনার কারীগর(স্বর্ণকার)দের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হবে।
দেশের বাজারে মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের দাম সবশেষ সমন্বয়ে রেকর্ড পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) গত ১৪ অক্টোবর রাতে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়েছিল, এবং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সেই সমন্বয়কৃত দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
এই সমন্বয় অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকায়, যা দেশের ইতিহাসে এক ভরি স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর বাজুস এক ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল, যা তখন সর্বোচ্চ দাম ছিল।
সবশেষ সমন্বয়কৃত দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকায় এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৭৭ হাজার ১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। বাজুস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ক্রেতাকে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার নকশা ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৬ হাজার ২০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম।
এছাড়া, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা ৩ হাজার ৮০২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি বছর এ নিয়ে মোট ৬৫ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো, যার মধ্যে ৪৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে এবং মাত্র ১৮ বার কমানো হয়েছে। এর আগের বছর, ২০২৪ সালে, মোট ৬২ বার দাম সমন্বয় হয়েছিল।
