বাংলাদেশের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২৩০/৪০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগী। গত ২ মাসের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৮০/৯০ টাকা।
মুরগির খাবারের দাম অসাভাবিক ভাবে বাড়ার কারণে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়াতে ছোট ছোট অনেক পোল্ট্রি খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বয়লার মুরগি ও ডিমের সংকট নতুন করে দেখা দিয়েছে।
বাজারে গিয়ে বেশ কয়েক জনকে আফসোস করতে দেখা গেল, মুরগির দাম শুনে । তাদের বক্তব্য এবার রোজার সময় আমরা বুঝি মুরগির মাংস খেতে পারবোনা।
চাল, ডাল, চিনি,আটা, ময়দা ও সয়াবিনসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে তুলনামূলক ভাবে শীতের সবজি নাগালের মধ্যে আছে কিছুটা।
বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে প্রতিদিন খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হচ্ছে আমিষ জাতীয় খাবার। অর্থনৈতিক অস্থিরতা ইতোমধ্যে রাজধানীর বাজার গুলোতে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। রমজানের আগেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। লাফিয়ে লাফিয়ে প্রতিদিনেই দাম বাড়ছে সবধরনের ভোগ্যপণ্যের, সরবরাহ উৎপাদন ও পরিবহন খরচসহ নানা অজুহাত ব্যবসায়ীদের।
কয়েক সপ্তাহ ধরে দাম বাড়তে বাড়তে কেজিতে সর্বোচ্চ ২৪০ টাকা কিনতে হচ্ছে বয়লার মুরগী। গেলো সপ্তাহে যা ছিল ১৮০/১৯০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩২০/৩৩০ টাকায় আর লেয়ার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ৩০০/৩১০ টাকা। এছাড়া গরুর মাংস ৭০০/৭২০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে সরবরাহ কম রমজানের পণ্যের বলছে দকানিরা। বাজারে দেখা নেই চিনির, সয়াবিন তেলের সরবরাহ আগের চেয়ে কমে গেছে।
রোজা আসতে বাকি এখনো এক মাসের বেশি সময়। এরই মধ্যে চড়া মসলার বাজার। বেশ কিছু মসলার দাম বেড়েছে অনেক। বেশিরভাগ মশলা আমদানী করতে হয় বিধায় আন্তর্জাতিক বাজার ও ডলারের দামকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে চালের বাজার অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে।
ক্রেতারা বলছেন চাপ সামাল দিতে অনেকেই প্রতিদিন তালিকা থেকে আমিষ জাতীয় খাদ্য কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারের তদারকির ঘাটতি আছে বলেও অভিযোগ তাদের। বাজারের আসা অধিকাংশ মানুষের ক্ষোভ দেশের উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমরা আমজনতা চাপে আছি তিন বেলা খারাবের চিন্তায়।