ভালো কোম্পানিকে শেয়ার বাজারে আনতে বিশেষ কর ছাড় চায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
যা বাস্তবায়ন হলে যুগান্তকারী প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) চেয়ারম্যান। তবে এতে বাজারে বৈষম্য বাড়ার পাশাপাশি রাজস্ব কমবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও স্থিতিশীলতা ফেরেনি শেয়ারবাজারে। একদিকে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের চাপ, অন্যদিকে বহুজাতিক কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে অনীহা; সব মিলিয়ে ভালো মানের আইপিও পেতে মরিয়া বিএসইসি, এবার বিশেষ সুবিধা চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে এনবিআরের কাছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, সম্প্রতি এনবিআরকে পাঠানো এক চিঠিতে ৩০ শতাংশ শেয়ার, পুঁজিবাজারে অফলোড করবে বা ছাড়বে এমন কোম্পানিগুলোকে ৫ বছরের জন্য শতভাগ কর মওকুফের অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া ১০ এবং ২০ শতাংশ শেয়ার ছাড়ের ক্ষেত্রেও কর কমানোর আবেদন করা হয়েছে।
বাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়ানো এবং বহুজাতিক কোম্পানিকে আকৃষ্ট করতে বিএসইসির এ উদ্যোগকে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলছেন আইসিবি চেয়ারম্যান আবু আহমেদ। তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবে। পাঁচবছর পর এর উপকারিতা আরও বেশি উপলব্ধ হবে।
তবে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটিতে থাকা অর্থনীতিবিদ মুস্তাফিজুর রহমান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এমন কর ছাড়ের ক্ষেত্রে তৈরি হতে পারে বৈষম্য। এতে কমতে পারে রাজস্বও।
বহুজাতিক কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত না করলে চাঙ্গা হচ্ছে না পুঁজিবাজার। আবার বিশেষ সুবিধা না দিলে আগ্রহ দেখাচ্ছে না এসব প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সব মিলিয়ে শাঁখের করাতের মুখোমুখি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
Author
-
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' একটি নির্ভরযোগ্য শেয়ার বাজার ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল। অর্থ ও বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রকাশ করে।
View all posts
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' শেয়ার মার্কেটের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সততার সহিত পরিবেশন করে এবং কোন সময় অতিরঞ্জিত, ভুল তথ্য প্রকাশ করেনা এবং গুজব ছড়ায়না, বরং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বদ্ধ পরিকর। এটি একটি স্বাধীন, নির্দলীয় এবং অলাভজনক প্রকাশনা মাধ্যম।