বরিশালের ডা. মনীষা চক্রবর্তী কারো কাছে একটি নাম। কারো কাছে মানব দরদী। কারো কাছে হিন্দু। কারো কাছে পতিপক্ষ বা বিরোধী দলের নেতা। এ সকল তকমা ছাপিয়ে গিয়ে মনীষার বড় পরিচয় তিনি একজন মানুষ এবং মানবতাই তার ধর্ম। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই ব্যক্তি আছেন মানুষের আলোচনা ও সমালোচনায়। কিছু মানুষ তার কর্মগুণ নিয়ে যতটা না সু-আলোচনা করেন তার চেয়েও অধিক বেশী কু-সমালোচনা করেন। সমালোচনা খারাপ বা দোষের নয়, সমালোচনা হোক গঠনমূলক। যারা তাকে নিয়ে কু-সমালোচনা করছেন তারা বোধহয় সমালোচনা করার যোগ্য হয়ে ওঠেনি।
এক নজরে বরিশালে বাসদের ব্যানারে মনীষার কার্যক্রম-
-প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোভিড ১৯ মোকাবেলায়
-দশ সহস্রাধিক মানুষের মধ্যে মাস্ক, জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ ও ব্লিচিং সল্যুশন বিতরণ করেছেন।
-প্রায় ৪০টি সংগঠনকে পিপিই পরিধান ও খোলা, করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি, করোনা রোগী দাফন বা সৎকার পদ্ধতি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত মানুষের সেবায় নিয়োজিত শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে প্রশিক্ষণ দান।
-ফ্রি চিকিৎসা সেবা,
-অসুস্থ রোগী পরিবহনে ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিস।
–ইদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বরিশালের ৩০টি ওয়ার্ডে পাঁচ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ। প্রতি প্যাকেটে ছিল তেহারি, চারপিস মুরগীর মাংসের ঝাল ফ্রাই ও দুইটি ডিম।
-‘করোনায় থামবে না পড়া’-সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য মানবতার পাঠশালা।
– ২৬টি পাটকল বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন।
– মহাত্মা অশ্বিনী কুমারের নামে বরিশাল কলেজের নামকরণের দাবীতে সমাবেশ ও কর্মসূচী।
-ঈদুল আযহা উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে পোলাও এর চাল ও গরুর মাংস বিতরণ এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ৪০০ পরিবারের মাঝে মুরগীর তেহারী বিতরণ।
(তাদের হয়তো আরও অনেক কার্যক্রম আছে, যা আমার জানার বাইরে বিধায় সংযুক্ত করা সম্ভব না।)
ইসলাম ধর্মের বড় উৎসব ঈদুল আযহা পালিত হয়েছে। এই ঈদুল আযহা উপলক্ষে বরিশালে বাসদ এর উদ্যোগে ডাঃ মনীষা চক্রবর্ত্তী প্রায় দেড় হাজার দরিদ্র নিম্নবিত্ত পরিবারে ঈদ আনন্দ পৌঁছে দিতে এক কেজি পোলাও এর চাল ও এক কেজি মাংসের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া অমুসলিম হিন্দু ও খ্রিস্টান প্রায় ৪০০ পরিবারের জন্য মুরগির তেহারি রান্না করে বিতরণ করা হয়। এই দেড় হাজার মানুষ এই সমাজের মৌলিক চাহিদার নীচে বসবাস করা মানুষ। যারা বছরে এক আধাবার বাজার থেকে মাংস কিনে খাবার সামর্থ্য রাখেন না। এরা হয়তো অনেকের কাছে অস্পর্শ্য দরিদ্র মানুষ। যাদেরকে আপনারা নেমতন্ন করে আপনাদের বাড়িতে ডায়নিং টেবিলে বসিয়ে খাওয়ান না। এই হতদরিদ্র মানুষগুলো আমাদের সমাজের বৃহৎ একটি অংশ। এদেরকে বাদ দিয়ে আপনারা কোন সমাজ গঠন করছেন?
ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে মনীষার গরুর মাংস বিতরণকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক চেতনার কর্ণধারগণ কুযুক্তি সহকারে সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনায় লিপ্ত হয়েছে। মনীষা একটি সভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন বলেই কি শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন? মনীষার পরিচয় তিনি একজন রাজনীতিবিদ। রাজনীতির কি জাত, পাত, ধর্ম ও সম্প্রদায় থাকে? এসব যদি থাকতো তবে তিনি হয়তো আপনাদের সুখী করতে পারতো। ধর্মীয় পরিচয়ে সাম্প্রদায়িক মগজধারীগণ বলেন তো আপনাদের কর্মকাণ্ডে আপনাদের সমাজভুক্ত মানুষেরা কি সুখে শান্তিতে আছে? আপনারা দলিত(মানুষ) বলে আলাদা একটি জাতপাত বানিয়ে প্রতিনিয়তই তাদের উপর চালান ষ্টীমরোলার। আপনারা গরু খাবেন না, অন্যকেও খেতে দেবেন। এই গরু খাওয়াকে কেন্দ্র করে মানুষের রক্তে রঞ্জিত করেছেন জনপদ। এটা কেমন ধর্মীয় শিক্ষা? ছোট, বড়, উচু, নীচু জাত নিয়ে আপনাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন। সাম্প্রদায়িক শিক্ষায় দীক্ষা নিয়ে কে কাকে হেয় করবেন, কারণে অকারণে একঘরে করবেন- এসব কাজের মধ্য দিয়েই চলে আপনাদের ধর্মীয় চর্চার ধার্মিক জীবন। আজ যারা মাংস নিয়ে মনীষার সমালোচনা করে মুখ দিয়ে অগ্নিবাণী ঢালছেন, তাদের মধ্যে কতজন আছেন যারা দলিত ও সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছেন! তাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও নিপীড়িন বন্ধের জন্য সভা, সমাবেশ করেছেন, অথবা দরিদ্র ও নির্যাতিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছেন? যে সব মানুষেরা দৈনিক অমানসিক পরিশ্রম করে, অস্বাস্থ্যকর ঘরে বসবাস করে, অধাহারে অনাহারে দিন কাটায় তাদের নিরামিষাশী হওয়ার পরামশ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন দয়া করে।
আবার কিছু সুশীল স্বঘোষিত মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী মনীষাকে নিরামিষভোজী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বা তারা গরু হত্যা বিপক্ষে। প্রশ্ন জাগে তারা কি পাঠাবলির বিপক্ষে? ভেড়া, ছাগল, মাছ, হাঁস, মুরগী, কবুতর হত্যার বিপক্ষে? যে সব প্রাণী আমরা খাই তার সবগুলো প্রাণিরই ভাষা আছে, আমরা বুঝি না বুঝি? তারা হয়তো প্রাণিপ্রেমী হতে পারে। তারা নিরামিষাশী, শাক সবজি খান। শাকসবজি গাছ থেকেই আসে। গাছের প্রাণ আছে তাও তারা জানেন। তবুও তারা সেই প্রাণ হত্যা করে খান এবং উদরপূর্তি করে বেঁচে থাকেন। গাছের কণ্ঠস্বর শোনা যায় না অথবা গাছের প্রতি মমতা তাদের হৃদয়ে নেই বলেই কি তারা অকাতরে গাছপালা থেকে শাকসবজি তুলে নেন! মানুষের জীবন ধারণ ও বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য গ্রহণ জরুরী। ভিটামিন, প্রানীজ প্রোটিন, মিনারেল… ইত্যাদি শাকসবজি, মাছ, মাংসের মধ্য দিয়েই গ্রহণ করে থাকি। যারা নিরামিষাশী তারা মাংস খান না কিন্তু তারা পরোক্ষভাবে প্রানীজ প্রোটিন গ্রহণ করে থাকেন, যেমন দুধ, ঘি, ছানা, মাখন… ইত্যাদি দুগ্ধ থেকে উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রী তারা খাবারের সঙ্গে খান। এই নিরামিষাশীরা ভুলে যান যে যাদের বছর ২/১বার মাংস কিনে খাবার সামর্থ্য রাখে না তারা কি করে দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য সামগ্রী কিনে প্রানীজ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারেন? নিরামিষাশীরা দিনে, সপ্তাহে, মাসে, বছরে কতজন নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য চাহিদা পুরণ করেছেন? আপনাদের যার যা ইচ্ছে খান, সমস্যা নেই। অন্যের খাওয়া নিয়ে এত মাথা ব্যথা কেন আপনাদের? বড়জোর আমরা এটা বলতে পারি যে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার যেন আমরা না খাই। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, শাকসবজির অপচয় যেন না হয়। একটি আস্ত গরু, খাসী, ভেড়া, মোষ, শূকর… একটি পরিবারের জন্য অতিরিক্ত খাদ্য। আমরা যেন একদিনে অনেক প্রাণি হত্যা করে এসব প্রাণিদের বিলুপ্তির দিকে ঠেলে না দেই। যদিও আজকাল শুধুমাত্র খাবারের উদ্দেশ্য বিভিন্ন প্রাণির খামার গড়ে উঠছে। এতে একদিকে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে এবং মানুষের প্রাণিজ প্রোটিনের চাহিদায় সহায়ক হচ্ছে। তাছাড়া এসব প্রাণি খাওয়া কোন দেশের আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ নয়। যা রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী নয়, যা খাওয়া নিষিদ্ধ নয় এবং গরু খাওয়ার অপরাধে যারা মানুষ হত্যা করে রাষ্ট্রীয় আইন লঙ্ঘন করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের কণ্ঠস্বর শোনা যায় না কেন?
মনীষার সমালোচনায় থেকে নেই বরিশালের রাজনৈতিক অঙ্গন এবং তথাকথিত সুশীল সমাজ।মনীষা শোষিত, বঞ্চিত মানুষের মানবাধিকারের কথা বলেন। মনীষা প্রতিদিন বরিশালের বস্তিগুলোতে যান, সাধ্যমত হতদরিদ্র মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেন। দলিত সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খান। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন, সাহস যোগান। সাম্প্রতিক সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোভিড ১৯ মোকাবেলায় ফ্রি চিকিৎসা সেবা, অসুস্থ রোগী পরিবহনে ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিস, ফ্রি অক্সিজেন দিয়ে বরিশালের মানুষদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সচেতনতা মূলক সেমিনার আয়োজন ও লিফলেট বিতরণ করেছেন। এছাড়াও মার্চ মাস থেকে দশ সহস্রাধিক মানুষের মধ্যে মাস্ক, জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ ও ব্লিচিং সল্যুশন বিতরণ করেছেন। একই মাস থেকে এ পর্যন্ত তিনি ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের মাধ্যমে সহস্রাধিক রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন। জুন মাস থেকে করোনা রোগীদের জীবন বাঁচাতে ‘অক্সিজেন ব্যাংক’ চালু করেছে, প্রায় শতাধিক মুমূর্ষু রোগীর বাড়িতে অক্সিজেন সরবরাহ করেছেন। এই সময়ে কর্মহীন হয়ে যাওয়া ও দরিদ্র মানুষদের জন্য চালু করেছেন মানবতার বাজার। ২৬ মার্চ থেকে ‘এক মুঠো চাল’ সংগ্রহের মাধ্যমে করোনাকালীন ত্রান কর্মসূচীর শুরু হয় এবং ১২ এপ্রিল থেকে মানবতার বাজার পরিচালিত করেন মনীষা। পুরো ২ মাস এই বাজার থেকে চাল, ডাল, তেল, আলু , মশলা, শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যসামগ্রী বিনামূল্যে নিয়েছেন প্রতিদিন ১৫ হাজার পরিবার।
করোনায় আক্রান্ত মানুষের সেবাদানে ইচ্ছুক শতাধিক মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে একোটি স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত করেছেন। যারা করোনায় আক্রান্ত রোগী সহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। বরিশালের প্রায় ৪০টি সংগঠনকে পিপিই পরিধান ও খোলা, করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি, করোনা রোগী দাফন বা সৎকার পদ্ধতি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এসব জনহিতকর কাজ তিনি করেছেন তার বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর ব্যানারে। মনীষার উদ্যোগে এসব হিতকর কর্মে বরিশালের একটি মহল প্রচার করেছে, ‘বাসদ এর করোনা সেবা ক্যাম্প থেকে করোনা ছড়াচ্ছে।’ নরম বিছানায় শুয়ে হীন ভাবনায় নিমজ্জিত ও ঈর্ষাকাতর হয়ে জনহিতকর কাজ করা যায় না এটা তারা ভুলে গেছেন।
বরিশালের বর্তমান সর্বাধিক আলোচিত বিষয় বরিশাল কলেজ ঘিরে। বরিশালের সুধীসমাজ মহাত্মা অশ্বিনী কুমারের নামে বরিশাল কলেজের নামকরণ করার দাবীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন মনীষা চক্রবর্তী ও তার রাজনৈতিক দল বাসদ। এরপরেই করোনাকালে বাসদের মানবতার সেবা কার্যক্রমে বাধা দিয়েছেন এবং পাঁচ লাখ টাকা দাবী করেছেন সুজিত কুমার দেবনাথ।
আমরা দেখেছি মনীষার বাবা মুক্তিযোদ্ধা তপন চক্রবর্তীর নাম রাজাকারের তালিকায়। শুধু তাই নয় তপন’দার মা উষা রানী চক্রবর্তীর নাম ‘একাত্তরের রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস ও স্বাধীনতাবিরোধী’ তালিকায় প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। যদিও বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলছেন, একটি মহল শত্রুতা করে এই পরিবারের সদস্যদের নাম স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকায় দিয়েছে। এরা কারা?
বারবার মনীষা ও তার পরিবারকে অপদস্ত করতে এসমস্ত জঘন্য কর্মের নিন্দা জানাই। রাজনীতি করতে হলে একাডেমিক বড় বড় ডিগ্রি না থাকলেও কিছুটা পড়াশুনা করতে হয়। সুস্থ ধারার রাজনীতি করতে গেলে জনগণের সংস্পর্শে থাকতে হয়, জ্ঞানের চর্চা করতে হয়। নিজেরা করবেন না, অন্যকেও কাজ করতে দেবেন না- এই পন্থা বল প্রয়োগ করে গরুর মাংস না খেতে বাধ্য করার মতো সহিংস উগ্র সাম্প্রদায়িক পন্থা। সমাজের কর্ণধার তথা বরিশালের রক্ষকেরা এই করোনাকালীন সময়ে আপনাদের অবদান কি? পত্রিকায় দেখেছি, বরিশালে কয়েকদিন বাড়ীতে বাড়ীতে সরকারী ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। আবার ত্রাণের চাল চুরির খবরও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এসব চাল চোরদের বিরুদ্ধে আপনাদের কোন প্রতিবাদ নাই! কিন্তু মনীষাদের কার্যক্রম ঠেকাতে আপনারা বদ্ধপরিকর! কিন্তু কেন? ক্ষমতার লেবেনচুস মুখে পুরে ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গ’রা কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী অবদান রাখছেন তা বরিশালবাসী জানে।
মনীষারা জন্মায় মানুষের জন্য। কোন চক্রান্ত দিয়ে মনীষাদের কর্ম রুখে দেওয়া যায় না। কেননা মনীষার সঙ্গে আছে অগণিত মানুষের ভালবাসা। মানব কল্যাণকর কর্মের মধ্য দিয়ে হাজার বছর মনীষা বেঁচে থাকবেন মানুষের মনে। কেননা মনীষার লড়াইটা শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়, মানুষের জন্য, নিপীড়িত মানুষের হয়ে তিনি লড়ছেন। তিনি নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে বাঁচেন না, তিনি বাঁচেন হতভাগ্য বঞ্চিত মানুষের মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। মানবতার মন্ত্রে দীক্ষিত মনীষা কোন হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের আত্মীয় নন, তিনি সকল মানুষের আত্মার আত্মীয়। সকল প্রকার দুর্নীতি অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে সদা জাগ্রত থাকুক মনীষার কণ্ঠ। বীরকন্যা মনীষা, তুমি আমার অভিবাদন গ্রহণ করো।