প্রিয় প্রিয়তমা মেঘোমালা,
প্রেম নয় আশ্লেষ নয়, তোমাকে শুধুমাত্র অকৃত্রিম আমার নিরন্তন ভালোবাসা জানাই, যা তোমারই অর্জন আমার মস্তিস্কে। তখনো তোমার আমার হয়নিকো বন্ধন যেন, কিছুটা ক্ষণ এখনো বাকি। সমাজবদ্ধ সোডিয়াম আলোয় কয়েকশ চোখ দেখছে তোমার নিতান্তই একা উদ্বেগ সঞ্চারিনী, আমাদের বন্ধন অপেক্ষায়।
আমি একটু বেশিই ক্লান্ত তোমায় আমার মহারানি সাজ রূপে দেখতে ও পূর্ণ সৃষ্টিতে। আমার কপালের ঘাম নয় বিরক্তি আমার বাঁধ ভেঙেছিল ধৈর্যের, কারণ তোমার কাছে আসতে দেরি হচ্ছে আরেক পোশাকি নারীর জন্য, সাজগোজের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়িতে।
অবশেষে সবই মাড়িয়ে কিংবা গড়িয়ে ঠিক ৬ই মে অন্তিম ছুটির দিন শুক্রবার গোধূলি বেলায় তোমার আমার হলো দেখা, হলো আমাদের গাঁটছড়া বাঁধা।
চলছে…
নিরন্তর সত্য… শুধু তুমিই জানো মাত্র। শুধু এটুকু বলি ‘ভালোবাসি, ভালো থেকো ও ভালো রেখো’। ওহহো তোমাকে তো বলাই হয়নি- প্রেম ভীষণ রকম বিরক্তিকর ও অযৌক্তিক, যদিও প্রেম ভীষণ রকম জাদুকরী। কেউ আমার প্রেমে পরুক, এর চেয়ে আমাকে ভালোবাসুক, এটা আমার আজন্ম প্রত্যাশা ও ভালো লাগা। এটাই আমার তীব্র কাম্য।
যদিও বেশি সংখ্যক মানুষ প্রেম খোঁজে, কি বুঝুক কি নাই বা বুঝুক। আমি জেনে শুনে বুঝে শুধু ভালোবাসতে চাই, ভালোবাসা পেতে চাই। আমার ভালোবাসা রইলো তোমার জন্য, সব সময়েরই জন্য। তোমার সততা, ব্যক্তিত্ব, দায়িত্ববোধ ও সবাইকে নিয়ে সংসার করা জীবন, আমাকে ধন্য করেছে, করেছে আনন্দিত ও দিয়েছে প্রশান্তির ছোঁয়া।
তোমার যোগ্যতা, সততা, তোমার ধৈর্য, তোমার মানসিকতার উচ্চতায় তুমি জীবনসঙ্গী হিসেবে অনেক মহান কাউকে পাওয়ার কথা ছিল, সে নিশ্চই আমি যোগ্য নই। এজন্যই জীবনে বলতে বলতে ও চলতে চলতে ভুল ও অপরাধগুলোর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী, আর এটা তুমি পারো, কারণ তোমার মস্তিষ্কের সৌন্দর্য ও মহানুভবতার জন্যই।
কিন্তু বিশ্বাস করো হে বিস্ময়কর নারী আমি ব্রহ্মান্ডে শুধু তোমাকে খুঁজেছিলাম, হচ্ছিলো নাগো দেখা। সময়ের পরে চলে যাচ্ছিলো সময়, সে কি টানাপড়েন, না পাওয়ার বিরক্তি, কি যন্ত্রণা!
তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি চলেছি হাজার কোটি মাইল, দেশে বিদেশের অসীম সীমানা পেরিয়ে।
আমি অন্তত ৫০ জন কিংবা তার অধিক সমসাময়িক বীরভোগ্যা নারীকে দেখেছিলাম জহুরির চোখে, কিংবা আমি তাদের চোখে তাকিয়ে ছিলাম বাজপাখির নিশানায়, ক্ষিপ্র শিকারে চোখ তোলার জন্য নয়।
আমি শুকরের মতো তীক্ষ্ণ নাক দিয়ে নিচ্ছিলাম তাদের মস্তিষ্কের গন্ধ। ঈশ্বরের সমসামিয়িক সর্বোচ্চ বীরভোগ্যা নারী দর্শনে আমি ভীষণ উপদ্রকর ও ক্লান্ত।
ঠিক তখনি যে আমার পবিত্র কবিতা হয়ে তুমি এসেছিলে আমার পাণ্ডুলিপিতে, আমার ভালোবাসতে চেয়ে, অনিশ্চিত পথা চলা শুরু করে।
তোমাকে আবারও তোমার-আমার ২য় বিয়ে বর্ষে ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই এজন্যই যে, আমার মতো বদরাগী, মোটা, বেটে ও কালো একটা বিদঘুটে মানুষকে তুমি শত অনিশ্চিতা নিয়ে সঙ্গী করছো, আবার ভালোওবেসে চলছো এখন অবধি।
তোমার-আমার জীবন চলুক অসীম বন্ধুত্ব, ভালবাসায়, আনন্দ ও ক্ষমায়, এমন উমেদ তোমারই কাছে।
শরতাকাশ
ঢাকা-১২১৬
০৬/০৫/২০২৪
Author
-
টি এম মিলজার হোসেন একজন বাংলা ভাষার কবি। তিনি সর্বদা ব্যতিক্রম কবিতা লিখে থাকেন, তিনি স্রোতের বিপরীতে হাঁটা মানুষ। তার কবিতার প্রধান বিষয়বস্তু দেশ, মানুষ, মনুষ্য প্রাণী, প্রকৃতি, মানব আদর্শ, হতাশা, দাহকাল, নরক ভূমি, সমসাময়িক অস্থির সময়, মনুষ্যত্ব বোধ, অধর্ম, হিংসা ও হিংস্রতা। তার কর্মজীবন মূলত পুঁজিবাজার নিয়ে। পুঁজিবাজার তার পেশা হলেও তার অপরিসীম ভালবাসা সাহিত্যে। তিনি নরওয়ে থেকে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকা ‘সাময়িকী’র সাবেক মাল্টিমিডিয়া সম্পাদক। বর্তমানে ‘ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম’ এর নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
View all posts
একটি রেসপন্স