দেশে রমজান মাস আসার আগেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। রোজা চলাকালীন সময়ে নাকাল হয় দেশবাসী। এবার রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম কোন ভাবেই বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং ব্যবসায়ী নেতারাও এ বিষয়ে কথা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘রমজানে জিনিসপত্রের দাম সহনীয় রাখতে সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে। দাম বৃদ্ধি নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। সরকারের কাছে যে মজুত আছে, তাতে কোনোভাবেই দাম বাড়বে না। যদি কেউ সুযোগ নেয় (দাম বাড়ায়), তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ রবিবার ১৯ শে মার্চ ২০২৩, সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, অর্থ, কৃষি, খাদ্য, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাংলাদেশ আনসারসহ দেশের চারটি গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রমজানে, তেল, চিনি এবং ছোলাসহ যা প্রয়োজন, এখন মজুত আছে তার দেড় গুণ। তাই দাম বাড়ার কোনও কারণ নাই। কেউ বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রমজানে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য চিনি যথেষ্ট মজুদ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দাম বাড়তির কারণে চিনির উপর থেকে ভ্যাট কমানো হয়েছে। চিনির দামের উপর থেকে যে ৫ ভাগ ট্যারিফ কমানো হয়েছে, সেটার প্রভাব রমজানের শুরু থেকেই বাজারে থাকবে। এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আগামীকাল সোমবার থেকে কঠোরভাবে মনিটরিং করবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও দেশে প্রচুর ভোজ্যতেলের মজুত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভয়ের কোনও কারণ নেই।’
মুরগির দাম এখন বাড়তির দিকে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা যাতে করে রমজান মাসে সহনীয় থাকে, সেজন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। এটা আর বাড়বে না। এফবিসিসিআই এবং ব্যবসায়ী নেতারাও কথা দিয়েছেন জিনিসপত্রের দাম আর বাড়বে না।’
সারা দেশ থেকে রাজধানীতে পণ্য আনার সময় পথে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান টিপু মুনশি।
মন্ত্রী বলেন, ‘রমজানে ১ কোটি দরিদ্র পরিবারকে মাসে দুই বার কম দামে টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে। এখন যা দেওয়া হয় মাসে একবার করে।‘ এটার প্রভাব বাজারে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।