আজ বুধবার ২৪ ই মে ২০২৩, দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) মূল্য সূচক শেষ দিকে সামান্য কমলেও লেনদেন দারুন ইতিবাচক ধারাতে শেষ হয়েছে। আজ ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন গতদিনের চেয়ে বেড়েছে। আজ বহুদিন পরে লেনদেনে ছাড়ালো হাজার কোটি।
আজ ডিএসইতে মোট ১১০৯.৯৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত কর্মদিবসে ডিএসইতে ৯২০.২১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। আজ গত কর্মদিবসের চেয়ে লেনদেন বেশি হয়েছে ১৮৯.৭২ কোটি টাকার।
আজকের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ০.২৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬৩০৫.৯০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১.৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৬৯.৮৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ০.৭৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২১৯৫.০৮ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে মোট ৩৬৪ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৪ টির, দাম কমেছে ৯৯ টির এবং দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯১ টি কোম্পানির।
আজ ডিএসইতে দাম বৃদ্ধির শীর্ষ ২০ তালিকায় ৮ টি খাতের শেয়ার ছিল। আজকের দাম বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকা বারবার পরিবর্তন হয়েছে। আজকের বাজার মুভমেন্টে ছিল বৈচিত্রময়, আজ বাজারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খাতের শেয়ার দাম বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় আসা যাওয়ার মধ্যে ছিল।
আজ ডিএসইতে দাম বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা ২০ টি শেয়ারের তালিকা।
অপরদিকে দেশের ২য় শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক বাড়লেও ও লেনদেন কমেছে । আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই পয়েন্ট বেড়ে সূচক অবস্থান করছে ১৮৫৯৬.৪৮ পয়েন্টে।
আজ সিএসইতে মোট ১৫.০১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গতকাল ছিল ১৯.৬১ কোটি টাকা। আজ সিএসইতে গত দিনের চেয়ে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার কম শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
আজ সিএসইতে মোট ২৪২ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৫ টির, কমেছে ৫৭ টির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ১১০ টি কোম্পানির।
আজ সিএসইতে দাম বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা তালিকায় বিভিন্ন খাতের শেয়ার উঠে এসেছে ।
আজ সিএসইতে দাম বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা ১০ টি শেয়ার।
উভয় পুঁজিবাজারে শুরুতে ইতিবাচক ধারাতে বাজার শুরু হলেও দিন শেষে বাজারে কিছুটা বিক্রি চাপ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
আজ লেনদেন চলাকালীন সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ টাওয়ারে কয়েকটি হাউজের অফিসে গিয়ে হাউজের অফিসার ও বিনিয়োগকারীদের ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করতে দেখা গেল। অনেক দিন পরে হাউজে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আজ প্রায় ৬ মাস পরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ১১০০ কোটি ছাড়াল। আজ ডিএসই টাওয়ার, নিকুঞ্জে নিয়মিত আসা ছয় জন বিনিয়োগকারীর সাথে বাজার নিয়ে জানতে চাইলে দুই জনকে দারুণ উজ্জীবিত ভাবে ভাব প্রকাশ করতে দেখা গেল। বাকি ৪ জনের মধ্যে একজন জানাল ৩০% ফান্ড ফ্রি আছে, বাকি টাকাও ফ্লোরে আটকে আছে। বাকি ৩ জনের চেহারার দিকে তাকানো যায় না এমন করুণ অবস্থা। তাদের সবার এক কথা লেনদেন হাজার কোটি বা ২ হাজার কোটি হলেই বা কি? আমাদের শেয়ারের লেনদেন হচ্ছেনা। সারাদিন তাকিয়ে থাকি আমার শেয়ারের কয়টা লেনদেন হলো।
সার্বিকভাবে বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে বাজারের এই প্রেক্ষাপটে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার লেনদেনে আসলে বাজার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আগাতে পারত এবং আপামর বিনিয়োগকারীরা সুফল ভোগ করত।