দেশের মানুষকে এখন যেন সৎ, সত্য খবরের চেয়ে ভুলভাল, মিথ্যা ও চটকদার বিষয়ই বেশি আকৃষ্ট করে। মানুষ এখন খুব বেশি মরীচিকার পিছনেই ছুটে। নিজের বুদ্ধি, বিবেচনা ও নিজস্ব পরিপাটি সিদ্ধান্ত জলাঞ্জলি দিতেই পছন্দ করেন।
সর্বশেষে নিজের নেয়া ভুল সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কপালকে দোষ দেন বা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ বা সংস্থাকে দোষ দেয়। দোষটা তার নিজের কতটা? তা ভাবার শক্তিই যেন বেকার হয়ে যাচ্ছে।
পুঁজিবাজার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডি থেকে শেয়ার বাজার নিয়ে বিভিন্ন গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেয় এক শ্রেণির মতলববাজ খারাপ প্রকৃতির লোকজন। গুজব ছড়িয়ে আতংকিত করাই এদের মূল কাজ। বাজারে গুজব ছড়িয়ে ফায়দা নিতে চায় এই কারসাজি চক্র। এদের দালালরা বিভিন্ন ফেইক আইডি দিয়ে সাধারণত গুজব দ্রুত ছড়িয়ে দিয়ে থাকে।
অনেক সাধারণ মানুষ অনেক কিছু না বুঝে, না জেনে না ভেবে এসব গুজব শেয়ার করে ছড়িয়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নিজেরা পেনিক হয় এবং অন্যদের পেনিক করে, অনেকেই এসবের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত করেন।
এইসব গুজবকারীদের কঠোর ভাবে দমন করা দরকার। এমন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে যাতে যে কোন লোক গুজব ছড়াতে ভয় পায়। ও কোন কিছু ছড়ানোর আগে ১০ বার ভাবেন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এর আগে বেশ কয়েক জনকে বিভিন্ন সময় গুজব ছড়ানোর দায়ে শাস্তির আওতাধীন করেছিল। তাদের আরো মনিটরিং বাড়ানো উচিৎ, তাহলে গুজবকারীরা গুজব ছড়াতে ভয় পাবে এবং বিরত থাকবে। বাজার উন্নয়নে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবকারীরা তাদের কঠোর শাস্তির আওতাধীন করতে হবে।
সর্বোপরি শেয়ার বাজার একটি স্পর্শকাতর জায়গা, তাই শেয়ার বাজার নিয়ে যাতে গুজব ছড়াতে না পারে, এজন্য সাইবার মনিটরিং টিম শক্তসামর্থ্য ভাবে সক্রিয় রাখা সময়ের দাবী ও একান্ত জরুরী।