আজ বুধবার ১লা মার্চ ২০২৩, মাসের প্রথম দিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার লেনদেন গত দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল সূচক শুরুতে আশা জাগিয়ে দিন শেষে নেতিবাচক ধারাতে শেষ হয়েছে, তবে লেনদেন গত দিনের চেয়ে আজ বেড়েছে।
আজ দিনের শুরুতে সূচক দারুণ ইতিবাচক ধারাতে শুরু করেও দিন শেষে বিক্রির চাপে সূচক কিছুটা কমে আজকের লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৫২.৪০ কোটি টাকার শেয়ার। যা গতদিন ছিল ৪৩০.৬৬ কোটি টাকার শেয়ার। আজ ডিএসইতে গত দিনের চেয়ে ২১.৭৪ কোটি টাকার বেশি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনে আজ মূল সূচক ডিএসইএক্স সূচক ২.২৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬২১৪.৬৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১.৯১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৫৭.৭৪ পয়েন্টে। ডিএস ৩০ সূচক ২.৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২২১৮.৩৪ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে মোট ৩৩০ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৮ টির, দাম কমেছে ৮০ টি এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ১৮২ টির।
অপরদিকে দেশের ২য় শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন গত দিনের চেয়ে বেড়েছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে সূচক অবস্থান করছে ১৮৩৩৬.৩৯ পয়েন্টে।
আজ সিএসইতে মোট ১৬.৪৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গতকাল ছিল ৪.৭৭ কোটি টাকা। আজ সিএসইতে গত দিনের চেয়ে ১১.৬৯ কোটি টাকার বেশি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
আজ সিএসইতে মোট ১৩৬ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৮ টির, কমেছে ৪৩ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫৫ টি কোম্পানির।
আজ উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে শুরু থেকেই বেশ গতি নিয়ে লেনদেন হয়েছে। অবশ্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক দিনশেষে কিছুটা কমে আজকের লেনদেন শেষ হয়েছে।তবে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন গতদিনের চেয়ে বেড়েছে।
আজ বেশ কয়েকটি হাউজের অফিসে গিয়ে হাউজের অফিসারদের কিছুটা ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি আজ অনেক দিন পরে বেশ কিছু বিনিয়োগকারীদের হাউজে আসতে দেখা গিয়েছে।
বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ পুরানো বিনিয়োগকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেল ক্রয় উপযোগি ফান্ড হাতে থাকা সত্ত্বেও, আস্থার অভাবে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন না, নতুন করে। তাদের কথা বাজার যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে বাজারে নতুন বিনিয়োগ করবেন। এছাড়া তাঁরা আরও বলেন বাজারে আস্থা ফিরে আসলে ফান্ডের অভাব হবেনা। ৭০ ঊর্ধ্ব বয়সি একজন বিনিয়োগকারী মজা করে বলেন, বাজার ভালো করে দেন, বাজার ভালো হলে দেখবেন ভূতে টাকা জোগাবে বাজারে। বাজার স্বাভাবিক হোক দেখবেন বাজারে টাকার অভাব নেই। আমাদের লোকজন বাজার খারাপ থাকলে বিনিয়োগ করতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।