ঢাকা শেয়ার বাজার

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বুধবার ২২ মাঘ ১৪৩১

শেয়ার বাজার সংকটের সময় কেন বিনিয়োগ করবেন?

সবার আগে শেয়ার বাজারের নির্ভর যোগ্য খবর পেতে আপনার ফেসবুক থেকে  “ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম” ফেসবুক পেজে লাইক করে রাখুন, সবার আগে আপনার ওয়ালে দেখতে। লাইক করতে লিংকে ক্লিক করুন  facebook.com/dhakasharebazar2024

বর্তমান দেশের শেয়ার বাজার সংকট অনেক বিনিয়োগকারীকে শঙ্কিত করে তুলতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য এটি একটি সুযোগও হতে পারে।

দীর্ঘদিন যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন তারা একটা কথাই বলে থাকেন যে, যখন সবাই শেয়ার বিক্রি করে তখন শেয়ার ক্রয়ের উপযুক্ত সময়।

এই সময়ে ভবিষ্যত সম্ভাবনাময় শেয়ারে বিনিয়োগের বড় সুযোগ। কেন শেয়ার বাজারের সংকটময় পরিস্থিতিকে বিনিয়োগ করার সুযোগ বলা হয়, তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।

স্বল্পমূল্যে শেয়ার ক্রয়ের সুযোগ
বাজার সংকটের সময় ভালো মানের কোম্পানির শেয়ারের দাম অনেকটা কমে যায়। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বল্পমূল্যে উচ্চ মানের শেয়ার ক্রয়ের সুযোগ তৈরি করে, যা ভবিষ্যতে বাজারের উন্নতি হলে ভালো মুনাফা দিতে পারে।

লভ্যাংশ ভিত্তিক বিনিয়োগ
ভালো মানের কোম্পানিসমূহ বাজার সংকটেও তাদের লভ্যাংশ প্রদানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে নিয়মিত আয় পাওয়ার সুযোগ থাকে।

ভবিষ্যতে বাজারের পুনরুদ্ধার সম্ভাবনা
আমরা পুঁজিবাজারের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই যে, শেয়ার বাজার সাধারণত সময়ের সাথে সাথে পুনরুদ্ধার হয়। যদি বিনিয়োগকারীরা ধৈর্য্য নিয়ে অপেক্ষা করতে পারেন, তবে তারা ভবিষ্যতে ভালো লাভ করতে পারেন।

সিকিউরিটিজ ও বাজার বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাসের সুযোগ
একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে আপনি সঠিক ভাবে বাজার এবং কোম্পানি বিশ্লেষণ করতে পারেন, তবে আপনি সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি এড়াতে পারেন। এতে বিনিয়োগ লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

পোর্টফোলিও বৈচিত্র্য
বাজার সংকটের সময় বিভিন্ন খাতের শেয়ার বা অন্যান্য সম্পদে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি হ্রাস পায়। ফলে একটি নির্দিষ্ট খাতের পতনের প্রভাব পোর্টফোলিওতে তুলনামূলক কম পড়ে।

দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে বিনিয়োগ
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারলে স্বল্পমেয়াদী পুঁজিবাজারের এই সংকট তাদের তেমন ক্ষতি করতে পারবে না।

পোর্টফোলিওতে বিদ্যমান সিকিউরিটিজের গড় ক্রয়মূল্যে হ্রাসের সুযোগ
আপনার পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগকৃত ভালোমানের কোন সিকিউরিটিজ এর ক্রয়মূল্য বেশি থাকলে সেই সিকিউরিটিজ অধিক পরিমাণে ক্রয় করে গড় ক্রয়মূল্য হ্রাসের সুযোগ রয়েছে। তবে উক্ত সিকিউরিটিজ এর ভবিষ্যত সম্ভাবনা বিশ্লেষন করেই এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সবশেষে মনে রাখতে হবে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী বা আর্থিক বিশ্লেষকের নিকট থেকে আর্থিক পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। আবেগের বশে বা গুজবে কখনোই বিনিয়োগ করবেন না।

শুধু সেই পরিমাণ অর্থই বিনিয়োগ করুন, যা হারানোর ঝুঁকি আপনি নিতে পারবেন। বর্তমানে পুঁজিবাজারের এই সংকটকে শুধু ভয় না পেয়ে এটিকে সুযোগ হিসেবেও গ্রহণ করতে পারেন। তবে, এটি নির্ভর করে বিনিয়োগকারী হিসেবে আপনার জ্ঞান, সিকিউরিটিজ বিশ্লেষেণের ক্ষমতা এবং ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতার উপর।

Author

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আপনি এটাও পড়তে পারেন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

শেয়ার বাজার

আপনি এই পৃষ্ঠার কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না।