গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৪০১ টিকোম্পানির লেনদেন হয়েছে, এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯১ টি , দাম কমেছে ৪০ টির, দামঅপরিবর্তিত ছিল ২৩৭ টির এবং কোন লেনদেন হয়নি ৩৩ টি কোম্পানির।
গত সপ্তাহে ৪ দিনে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬৩৯.১৭ কোটি টাকা ,গড়ে প্রতিদিন লেনদেনহয়েছে ৪০৯.৭৯ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল মাসের শেষ দিন৬৬৬.৮৩ কোটি টাকা ,এবং সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ২৭২.০৫ কোটি টাকার।
গত সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন উভয়ই কমেছে।গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক ৮.৫১ পয়েন্টকমে সপ্তাহ শেষ করেছে।গত সপ্তাহে লেনদেন ও আগের সপ্তাহের চেয়ে ১২২ কোটি ৮৫ লাখ৭৩ হাজার টাকা কমেছে।যা শতাংশের দিক দিয়ে ৬.৯৭ শতাংশ কমেছে।অবশ্য গত সপ্তাহে২৬ শে মার্চের জন্যে একদিন লেনদেন বন্ধ ছিল।
গত সপ্তাহে বাজারে উল্লেখ্য যোগ্য তেমন কোন লেনদেন ছিলনা। পুরো সপ্তাহ জুড়েবিনিয়োগকারীদের হতশার মধ্য দিয়ে কেটেছে। তবে সপ্তাহের শেষ দিন বাজার ইতিবাচকপ্রবনতার মধ্য দিয়ে শেষ করেছে।
নিন্মে গত সপ্তাহের বাজারের টপ গেইনার, টপলুজার ও টপ ট্রেড লেনদেন নিয়ে আলোকপাতকরা হলোঃ
সাপ্তাহিক (TOP GAINER) বা দাম বাড়ার শীর্ষে ছিল লিগেসি ফুটওয়ার লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ৩২.৩৮ শতাংশ এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ডিএসইর সাপ্তাহিকদর বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছিল।ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায়উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইনটেক লিমিটেড দাম বেড়েছে ৩০.৬৬শতাংশ, সমতা লেদারের ১৪.২৪ শতাংশ, ইউনিক হোটেলের ১৪.১১ শতাংশ ,মিরাকলইন্ডাষ্ট্রিজের ১৩.৮৮ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের ১২.১০ শতাংশ, তশরিফা ইন্ডাষ্ট্রিজের১১.২৯ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিডের ১০.০৭ শতাংশ, বিডি অটোকারসের ৯.৯৮ শতাংশ ওএপেক্স ট্যানারির দাম বেড়েছে ৯.৯৭ শতাংশ।
সাপ্তাহিক (TOP LOSER) বা দাম পতনের শীর্ষে ছিল শ্যাম্পুর সুগার মিলস লিমিটেড,সপ্তাহ জুড়ে শেয়ারটির দাম কমেছে ৯.৯৫ শতাংশ এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ডিএসইরসাপ্তাহিক দাম পতনের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছিল।ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম পতনেরশীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোনালী পেপারের ৯.২৩শতাংশ, সী পার্ল হোটেলেল ৬.৭২ শতাংশ, জিলবাংলা সুগারের ৫.৯৮ শতাংশ, জুটস্পীনার্সের ৫.৩৩ শতাংশ, বিকন ফার্মার ৫.১৭ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ৪.৯৮ শতাংশ, ইমাম বাটনের ৪.১০ ৫.৬৮ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ৩.৭৭ শতাংশ এবং মেঘনা পেটের৩.৫৯ শতাংশ দর কমেছে।
সাপ্তাহিক (TOP TRADE VALUE ) লেনদেনের শীর্ষে ছিল ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্টপিএলসি ,সপ্তাহ জুড়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৭১ লাখ ৫৩ হাজার ২১৮ টি শেয়ার লেনদেনহয়েছে। যার বাজার মূল্য ১২৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭ হাজার টাকা।লেনদেন তালিকার দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। সপ্তাহজুড়েকোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ১০৯ কোটি২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা।লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেনেক্সিল ইনইনফোসিসলিমিটেড। সপ্তাহ জুড়ে কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ২৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল জেমিনি সি ফুড,সি পার্লবিচ,বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন,এডিএন টেলিকম ,রুপালি লাইফ ইন্সুরেন্স ,রংপুরফাউন্ডারি ও আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড।
সার্বিকভাবে বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেল গত সপ্তাহের শুরুতে ও বিনিয়োগকারীগনহতাশার মধ্যে ছিল তবে মাসের শেষে ব্যাংকের এক্সপোজার গননা থেকে কর্পোরেট বন্ড, সুকুক, ডিবেঞ্জার বাদ হবে বিষয় টি মন্ত্রীসভায় অনুমোদন দেয়াতে বিনিয়োগকারীগনের মধ্যেআশা জেগে উঠেছে।
বিনিয়োগকারীগন আশা করছেন চলতি মাসের সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাশ হবে।তারা আশা করছেন ব্যাংকের এক্সপোজার গননা থেকে কর্পোরেট বন্ড, সুকুক, ডিবেঞ্জার ,মিচুয়ালফান্ড বাদ যাওয়ার বিষয় টি সংসদে পাশ হলে বাজারের গতি ফিরে আসবে।
মার্চের শেষ সপ্তাহ বিনিয়োগকারীদের আশা জাগিয়ে তুলেছে,বিশেষ করে ব্যাংকের এক্সপোজার গননা থেকে কর্পোরেট বন্ড, সুকুক, ডিবেঞ্জার ,মিচুয়ালফান্ড বাদ যাওয়ার বিষয় টি সংসদে পাশ হবে এই খবরে ।এই বিষয় টি নিয়ে একজন বাজার বিশ্লেষক এর সাথে কথা বল্লে তিনি জানান বিলটি পাশ হলে বেশ কিছু ফান্ড ফ্রি হবে ,যার ফলে ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে,তাছাড়া বিষয় টি একটি মনসতান্ত্রিক বিষয় ,বিলটি পাশ হলে বাজারের উন্নতি হবে ,আসলে বাজারে মূল সমস্যা আস্থার।আস্থার সংকটের উন্নয়ন হওয়া অতীব জরুরী বাজার ভালো হবার জন্যে।সেটা যে ভাবেই হোক বিনিয়োগকারীদের ভিতি দূর করতে হবে।