তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পায়নি। তাই দেশটির এবারের নির্বাচন স্পষ্টতই দ্বিতীয় দফায় গড়ানোর পথে রয়েছে। তবে ভোটের হিসাবে এগিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তাঁর ভাগ্য এখনো ঝুলে থাকলেও ইতিমধ্যে এরদোয়ানের সমর্থকেরা উল্লাসে মেতেছেন।
তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে গতকাল রোববার। বেসরকারি ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ৯৭ শতাংশের বেশি ভোট গণনা শেষে প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রার্থী এখনো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি; যদিও পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়েছে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দল এ কে পার্টির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্স।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম গুলোর হিসাব বলছে, আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যালট গণনা হয়েছে। এতে এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৪০ শতাংশ ভোট। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, তুরস্কে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে রানঅফ বা দ্বিতীয় দফায় ভোটে যেতে হবে। সেই হিসাবে, ২৮ই মে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে। দ্বিতীয় দফার ভোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি।
এদিকে তুরস্কে উল্লাসে মেতেছেন এরদোয়ানের সমর্থকেরা। পথে নেমে উৎসব করছেন তাঁরা। রাতেই রাজধানী আঙ্কারায় এ কে পার্টির সদর দপ্তরের সামনে মিছিল হয়েছে। জাতীয় পতাকা হাতে স্লোগান দিয়েছেন দলটির কর্মী-সমর্থকেরা। ফুটানো হয়েছে আতশবাজি।
আঙ্কারায় দলের সদর দপ্তরের বারান্দায় সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়েছেন এরদোয়ান। এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রথম দফা ভোটে নির্বাচন শেষ হবে কি না, আমরা এখনো তা জানি না। কিন্তু দেশের মানুষ ইচ্ছায় দ্বিতীয় দফায় লড়তে প্রস্তুত রয়েছি আমি।’
সুত্রঃ আল-জাজিরা