কিভাবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনবেন / প্রেসার স্বাভাবিক রাখবেন ?
নিম্নের নিয়মগুলো মেনে চলুন। আশা করি ২–৩ মাসের মধ্যে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাহবে স্বাস্থ্যকর ও টেকসই সমাধান।
১. শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরাতে হবে।
২. নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে, বিশেষত কার্ডিও।
৩. নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
৪. ধুমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে।
৫. সুগার ও গ্রেইন বা শস্য খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৬. ইনফ্লেমেটারি খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেমন ইন্ডাস্ট্রিয়াল তেল, চিনি, প্রসেসড ফুড, ফাস্ট ফুড, ডিপ ফ্রাই ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, জুস ইত্যাদি।
৭. বেশি বেশি শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে।
৮. পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা–৩ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ডি, ভিটামিনসি যুক্ত খাবার খেতে হবে।
৯. উন্নত প্রোটিন খেতে হবে। ডিম, মাছ, মুরগী।
১০. উন্নত মানের ফ্যাট খেতে হবে – মাছের তেল, ডিম, অলিভ অয়েল, বাদাম, তিসি, কালোজিরা।
৯. সূর্যের আলোতে যেতে হবে। সূর্যের আলো স্কিন ও ব্লাডে নাইট্রিক অক্সাইড এর মাত্রাবাড়িয়ে দেয়। ফলে প্রেসার কমে যায়। তাছাড়া ভিটামিন ডি তো আছেই।
১০. স্ট্রেস কন্ট্রোল করতে হবে। হাসা, যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, ডিপ ব্রেথিং, মিউজিকইত্যাদি।
১১. দাম্পত্য সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে।
১২. ডার্ক চকলেট, গ্রিন টি, রসুন, আদা, হলুদ ইত্যাদি হার্বস।
১৩. ঔষধ খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ঔষধ খেয়ে হাই ব্লাড প্রেসার সাময়িক ম্যানেজ হয়, কিন্তু স্থায়ী আরোগ্য হয় না। বরং লং–টার্মসাইড এফেক্ট এ বিভিন্ন অর্গান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ন্যাচারাল পদ্ধতি অবলম্বন করলে কেবল উচ্চরক্তচাপ নয় – শরীরের অধিকাংশ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়ে যাবে।