২০২৩-২৪ প্রস্তাবিত অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় যদি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হয়, তাহলে তাকে আয়কর দিতে হবে। গত অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ছিল তিন লাখ টাকা। এবার ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব ছিল চার লাখ টাকা করার।
আজ বৃহস্পতিবার (১লা জুন) বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।
বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
করমুক্ত আয়সীমার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমানে ব্যক্তির আয়ের প্রথম ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। পরবর্তী এক লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ৫ শতাংশ, এর পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২০ শতাংশ এবং এর চেয়ে বেশি আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি। প্রতিবন্ধীদের ব্যক্তি করদাতা সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি।’
‘এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং কোনও প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের ক্ষেত্রে এমন প্রত্যেক সন্তানের জন্য ৫০ হাজার টাকা বেশি করমুক্ত আয় সীমা রাখার প্রস্তাব করছি।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের পর নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংসদ সদস্যরা আলোচনা করবেন। এরপর আগামী ৩০ জুন ২০২৩ প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হবে।