ঢাকা শেয়ার বাজার

৫ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার ২০ কার্তিক ১৪৩২

অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা হলে করণীয়

সবার আগে শেয়ার বাজারের নির্ভর যোগ্য খবর পেতে আপনার ফেসবুক থেকে  “ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম” ফেসবুক পেজে লাইক করে রাখুন, সবার আগে আপনার ওয়ালে দেখতে। লাইক করতে লিংকে ক্লিক করুন  facebook.com/dhakasharebazar2024

সারা দেশজুড়ে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। সামনে আরও অনেক দিন গরমের প্রখরতা থাকবে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস থেকে । তাপমাত্রা বাড়ায়, বাহিরে বের হলে এমনকি ঘরের মধ্যে ও ঘেমে যাচ্ছে লোকজন। এত গরম পরছে যে ইদানীং কম বেশি সবাই ঘামেন। আবার অনেকেই আছেন অতিরিক্ত ঘামেন।

উষ্ণ আবহাওয়ায় কিছুক্ষণ থাকলে বা কোনো ধরণের শারীরিক পরিশ্রম করলে মানুষের শরীর থেকে ঘাম নির্গত হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই শরীরের নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় যদি মাত্রাতিরিক্ত ঘাম সৃষ্টি হয়?

আবার ঘামের সঙ্গে দুর্গন্ধও হয়, যা খুবই বিব্রতকর। যারা এ ধরনের সমস্যায় বেশি ভোগেন তারা কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন।

১. প্রতিদিন গোসলের সময় পানিতে পাঁচ থেকে ছয় ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিন। এই অয়েল মেশানো পানি দিয়ে গোসল করলে সারাদিন তরতাজা থাকবেন, ঘামও কম হবে। আর ঘাম হলেও দুর্গন্ধ ছাড়বে না।

২. গোসলের পর আন্ডারআর্মসে অ্যান্টিপার্স‌পর‍্যান্ট প্রয়োগ করুন। অর্থাৎ, রোল অন ব্যবহার করুন। এটি ডিওডোরেন্টের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। এটি ঘাম ও ব্যাকটেরিয়ার মাঝে একটি স্তর হিসেবে কাজ করে। এতে ঘামে দুর্গন্ধ তৈরি হয় না।

৩. গরমের সময় ভুলেও গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন না। হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরে আরাম মেলে। কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার প্রবণতা থাকলে, এই সমস্যা আরও বাড়াতে পারে। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে শরীর ঠান্ডা এবং টক্সিনমুক্ত থাকে।

৪. যত বেশি ঝাল-মসলাযুক্ত খাবার খাবেন, শরীর ঘাম বেশি হবে। সেই সঙ্গে দুর্গন্ধ ছাড়বে। মসলায় থাকা উপাদান নিউরোট্রান্সমিটারকে সক্রিয় করে, যা ঘর্মগ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করে। তাই এই ধরনের খাবার খেলে ঘাম বেশি হয়।

৫. নিয়মিত অন্তর্বাস পরিবর্তন করুন। সুতির অন্তর্বাস পরুন। মাথার ত্বকেও ঘাম হয়। এক্ষেত্রে চিরুনি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে।

ঘামের সমস্যা যদি খুব বেশি থাকে যে আপনার দৈনন্দিন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
এছাড়া হঠাৎ যদি ঘামের সমস্যা শুরু হয়, তাহলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

অনেক সময় কোনো রোগের ওষুধ নেয়া শুরু করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘামের সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেরকম ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

আর যাদের অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা রয়েছে, তাদের ঘামের সমস্যা যদি টানা ৬ মাস ধরে চলতে থাকে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া দরকারি।
পারিবারিকভাবে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে বা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি সময়ে, যেমন রাতে, ঘামলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।

Author

  • 'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' একটি নির্ভরযোগ্য শেয়ার বাজার ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল। অর্থ ও বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রকাশ করে।

    'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' শেয়ার মার্কেটের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সততার সহিত পরিবেশন করে এবং কোন সময় অতিরঞ্জিত, ভুল তথ্য প্রকাশ করেনা এবং গুজব ছড়ায়না, বরং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বদ্ধ পরিকর। এটি একটি স্বাধীন, নির্দলীয় এবং অলাভজনক প্রকাশনা মাধ্যম।

    View all posts
Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আপনি এটাও পড়তে পারেন
শেয়ার বাজার

আপনি এই পৃষ্ঠার কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না।