ঢাকা শেয়ার বাজার

২৭ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার ১১ কার্তিক ১৪৩২

অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া আরও সহজ হলো, রিটার্ন জমায় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে না

সবার আগে শেয়ার বাজারের নির্ভর যোগ্য খবর পেতে আপনার ফেসবুক থেকে  “ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম” ফেসবুক পেজে লাইক করে রাখুন, সবার আগে আপনার ওয়ালে দেখতে। লাইক করতে লিংকে ক্লিক করুন  facebook.com/dhakasharebazar2024

অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া আরও সহজ হলো,চলতি অর্থবছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে কোনো কাগজপত্র বা দলিলাদি আপলোড করতে হয় না। শুধু ওই সব প্রয়োজনীয় কাগজের তথ্য দিলেই হয়।

চলতি অর্থবছর থেকে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব করদাতার অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রিটার্ন দেওয়ার সময়সীমা হলো ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, অনলাইনে রিটার্ন দিলে কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে হবে না।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহ পর্যন্ত সাড়ে আট লাখ রিটার্ন অনলাইনে জমা পড়েছে।

যেসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে করদাতা ই-রিটার্নে তাঁর আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য জমা দিতে হয়, সেসব কাগজপত্র ও দলিলাদি করদাতাকে নিজ হেফাজতে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ, কর কর্মকর্তারা যদি ওই ব্যক্তির রিটার্ন নিরীক্ষায় ফেলেন, তাহলে প্রমাণ হিসেবে এসব কাগজপত্র চাইতে পারেন। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণেও কর কর্মকর্তারা কাগজপত্র দেখতে চাইতে পারেন।

অনলাইনে রিটার্ন জমার সময় নিজের প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাগজপত্রের তথ্য লাগবে। যেসব কাগজপত্রের তথ্য লাগবে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বেতন খাতের আয়ের দলিল, সিকিউরিটিজের ওপর সুদ আয়ের সনদ, ভাড়ার চুক্তিপত্র, পৌর করের রসিদ, বন্ধকি ঋণের সুদের সনদ, মূলধনি সম্পদের বিক্রয় কিংবা ক্রয়মূল্যের চুক্তিপত্র ও রসিদ, মূলধনি ব্যয়ের আনুষঙ্গিক প্রমাণপত্র, শেয়ারের লভ্যাংশ পাওয়ার ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট, সুদের ওপর উৎসে কর কাটার সার্টিফিকেট।

বিনিয়োগ করে কর রেয়াত পেতে চাইলেও কিছু কাগজপত্র লাগবে। যেমন জীবন বিমার কিস্তির প্রিমিয়াম রসিদ, ভবিষ্য তহবিলে দেওয়া চাঁদার সনদ, ঋণ বা ডিবেঞ্চার, সঞ্চয়পত্র, শেয়ারে বিনিয়োগের প্রমাণপত্র, ডিপোজিট পেনশন স্কিমে (ডিপিএস) চাঁদার সনদ, কল্যাণ তহবিলের চাঁদা ও গোষ্ঠী বিমার কিস্তির সনদ, জাকাত তহবিলে দেওয়া চাঁদার সনদ।

সব করদাতা ২০২৫-২৬ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন https://www.etaxnbr.gov.bd এই ওয়েবসাইটে জমা দিতে হবে।

অনলাইনে রিটার্ন জমার আগে প্রথমে করদাতাকে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন নিতে করদাতার নিজের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বায়োমেট্রিক করা মুঠোফোন নম্বর লাগবে। এ দুটি দিয়ে নিবন্ধন করে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তি রসিদ মিলবে।

করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা অন্য কোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর পরিশোধ করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য রাজস্ব বোর্ডের কর্মীরা কল সেন্টার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান করবেন।

Author

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আপনি এটাও পড়তে পারেন
শেয়ার বাজার

আপনি এই পৃষ্ঠার কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না।