আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আসর। এশিয়া কাপের প্রস্তুতি হিসেবেই ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সব ম্যাচ হবে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি।
বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের সিরিজটা অপ্রত্যাশিতভাবেই এসেছে। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ভারতীয় দলের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফর করার কথা ছিল। নিরাপত্তার কারণে বিসিসিআই সফরটা এক বছর পিছিয়ে দেয়ায় শূন্যতা পূরণে নেদারল্যান্ডস দলকে আমন্ত্রণ জানায় বিসিবি। ডাচরাও রাজি হয়ে যায়। আজ শুরু সেই ‘বিকল্প সিরিজ’। পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে আগামী ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর।
২০ ওভারের ফরম্যাটে ডাচদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে ৪টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুটি ম্যাচ ছিল দ্বিপক্ষীয় সিরিজের অংশ। ২০১২ সালের জুলাইয়ে দ্য হেগ শহরে অনুষ্ঠিত সেই দুটি ম্যাচের একটি বাংলাদেশ ও আরেকটিতে ডাচরা জিতেছিল। এরপর বিশ্বকাপে তিনবার দেখা হয়েছে এ দুই দলের, যার সবক’টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ৮ রানে, ২০২২ সালের বিশ্বকাপে হোবার্টে ৯ রানে ও ২০২৪ সালের বিশ্বকাপে ২৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
টাইগাররা এশিয়া কাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখলেও সফরকারী ডাচরা সিরিজটা হালকাভাবে নিচ্ছে না, অতিথিরা সিরিজটা জিততে চায়। দলটির অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘অবশ্যই বিশ্বাস করি, সিরিজ জিততে পারব। প্রতিটি সিরিজে জেতার জন্যই খেলি। আমরা আশা করি, ভালো ক্রিকেট খেলব। যদি যথেষ্ট ভালো খেলতে পারি, তাহলে আমাদের একটা সুযোগ থাকবে।’
এশিয়া কাপের আগে নেদারল্যান্ডসের কাছে লিটন দাসরা হারলে নিশ্চিত ভাবেই সমালোচনার ঝড় উঠবে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ ফিল সিমন্সকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারি, তখনো সমালোচনা হবে। র্যাঙ্কিং এর নিচে থাকা দলের কাছে হারও তাই খারাপ কিছু নয়। কারণ আমরা যদি ভালো না খেলি নির্দিষ্ট দিনে, আমাদের সমালোচনাটা প্রাপ্য। যদি ভালো খেলার পরও তারা আমাদের হারায়, তাহলে যোগ্য হিসেবেই হারাবে।’ ক্যারিবীয় কোচ বলেন, ‘আমরা কারো কাছে হার নিয়ে তাই আলাদা করে ভাবি না। আমি নিশ্চিত, যদি সেরাটা খেলতে পারি তাহলে আমরা জিতব।’