ঢাকা শেয়ার বাজার

৪ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার ১৯ আশ্বিন ১৪৩২

এনবিআর ছয় ধরনের করদাতাদের জন্য সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে

সবার আগে শেয়ার বাজারের নির্ভর যোগ্য খবর পেতে আপনার ফেসবুক থেকে  “ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম” ফেসবুক পেজে লাইক করে রাখুন, সবার আগে আপনার ওয়ালে দেখতে। লাইক করতে লিংকে ক্লিক করুন  facebook.com/dhakasharebazar2024

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ছয় ধরনের করদাতাদের জন্য সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। আয়কর রিটার্নের আইটি ১০বি (২০০৩) ফরমটি করদাতার পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীর তথ্যের জন্য দেওয়া হয়।আয়কর রিটার্নে সম্পদের বিবরণী দিতে হয়। তবে তা সবার জন্য নয়। বেশি সম্পদ থাকলেই শুধু সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে।

যে ছয় ধরনের করদাতাদের জন্য সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে তাঁরা হল-সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারী, ৫০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকলে,সিটি এলাকায় বাড়ি ও ফ্ল্যাট, গাড়ির মালিক, বিদেশে সম্পদ থাকলে এবং কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের।

১. সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারী

একজন করদাতা যদি সরকারি চাকরি করেন, তাহলে তাঁকে প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন জমার সময় সম্পদের বিবরণী জমা দিতেই হবে। কারণ, সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সম্পদ বাড়ল না কমল, তা দেখতে চান কর কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রায়ই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এ জন্য এনবিআর গণখাতের কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী বাধ্যতামূলক করেছে।

২. ৫০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকলে

আপনি একজন করদাতা ও প্রতিবছর রিটার্ন দেন। আপনার যদি ৫০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ অর্থাৎ বাড়ি, প্লট, অ্যাপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাবর সম্পদ থাকে, তাহলে আপনাকে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে সম্পদের মূল্য যখন আপনি যে দামে কিনেছেন বা যখন মালিক হয়েছেন, তখন বাজারদর যত ছিল, তা হিসাব করতে হবে।

৩. সিটি এলাকায় বাড়ি ও ফ্ল্যাট

আপনার হয়তো ৫০ লাখ টাকার সম্পদ নেই। কিন্তু আপনার ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এলাকায় যদি বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট থাকে, তাহলে আপনাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে। এখানে আপনি সিটি এলাকায় বাড়ি–গাড়ি থাকলে ধনী লোক হিসেবেই ধরা হয়।

৪. গাড়ির মালিক

একজন করদাতার একটি গাড়ি আছে। কিন্তু তাঁর সব মিলিয়ে ৫০ লাখ টাকার সম্পদ নেই। তবু আপনাকে সম্পদের যাবতীয় তথ্য দিয়ে তা রিটার্নে জানাতে হবে।

৫. বিদেশে সম্পদ থাকলে

কোনো করদাতার যদি দেশের বাইরে ন্যূনতম কোনো সম্পদ থাকে, তাহলেও বাংলাদেশের রিটার্ন জমার সময় সম্পদের বিবরণী দিতে হবে। কারণ, দেশের বাইরের সম্পদের খবর জানতে চায় এনবিআর। দেশে ৫০ লাখ টাকার সম্পদ না থাকলেও ওই করদাতার সম্পদের বিবরণী জমার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে।

৬. কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক

আপনি যদি কোনো কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হন, তাহলে কোনো চিন্তা করতে হবে না। আপনাকে বছর শেষে রিটার্ন জমার সময় সম্পদের বিবরণী দিতেই হবে। আপনার সম্পদের পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা পেরিয়ে না গেলেও বিবরণীর ফরম করে যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।

আয়কর রিটার্নের সম্পদ বিবরণীতে বেশ কিছু তথ্য দিতে হয়। যেমন বাংলাদেশে অবস্থিত সম্পদের মধ্যে ব্যবসার সম্পদ, দায় ও মূলধন, শেয়ার ও অংশীদারি বিনিয়োগ, অ–কৃষি ও কৃষি জমি–ঘর, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার–বন্ড, ঋণ প্রদান, প্রভিডেন্ট ফান্ড, মোটরযান, অলংকার, আসবাব ও অন্য সম্পদসহ নগদ অর্থ। এ ছাড়া বিদেশে অবস্থিত সম্পদ থাকলেও তা জানাতে হবে। টাকার অঙ্কে সব সম্পদের যোগফল দিয়ে মোট সম্পদ লিখে করদাতার নাম, স্বাক্ষর, তারিখসহ ঘোষণা দিতে হয়।

Author

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আপনি এটাও পড়তে পারেন
শেয়ার বাজার

আপনি এই পৃষ্ঠার কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না।