আজ সোমবার , ২১ আগস্ট,২০২৩ সপ্তাহের ২য় দিন, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেই লেনদেনের শুরু থেকেই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রেখে আজকের বাজার লেনদেন শেষ হয়েছে।আজ মোটামুটিভাবে চলতি আগস্ট মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বাজার ছিল।
আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কয়েকটি হাউজের অফিসে গিয়ে দেখা গেল বেশ কিছুবিনিয়োগকারী ও অফিসারদের মধ্যে কিছুটা কর্মচঞ্চলতা ফিরে এসেছে।
তবে আজ বেশ কয়েকজন বড় বিনিয়োগকারী হতাশার সুরে জানান বাজার ভালো হচ্ছে এটাবাজারের জন্যে ভালো খবর কিন্তু আমাদের শেয়ারের লেনদেন ই হচ্ছেনা।
একজন বিনিয়োগকারী আক্ষেপের সুরে বল্লেন , নিজ কিছু শেয়ার বিক্রি করে যে কিছু টাকাতুলবো, সে অবস্থাও নেই। কেননা ফ্লোর প্রাইজ এর কারণে বিক্রিও করতে পারছি না।
লাভ আছে এমন শেয়ারও বিক্রি করতে না পেরে একজন প্রবীন ফান্ডামেন্টাল শেয়ারেবিনিয়োগ করা একজন বিনিয়োগকারী ব্যাপক উত্তেজিত হয়ে বললেন
এ কেমন বাজার বাবা! আমার শেয়ার আমি বিক্রি করতে পারবো না, এটা কোন কথা হলো ?
আমার লাভ আছে কি লস আছে সেটা দেখার দায়িত্ব, অন্যে কেউ দেখবে না। তাহলে আমিএখন প্রয়োজনের সময় শেয়ার বিক্রি করতে পারব না এটা হতে পারেনা। এর একটি বিহিতহওয়া জরুরী।
মাহমুদ রাসেল নামের একজন বিনিয়োগকারী ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কমের মেসেঞ্জারেম্যাসেজ করে জানান বাজার বাড়ছে ,সূচক বারছে বিভিন্ন কোম্পানি টানা বাড়ছে কিন্তু আমারশেয়ারের আজ একটা শেয়ার ও লেনদেন হয়নি। তিনি চরম হতশা নিয়ে বল্লেন
“কি পচা শেয়ার কিনলাম সারাদিনে ১ টা শেয়ার ট্রেড হয়না”
উক্ত বিনিয়োগকারীকে ফোন দিয়ে কোন শেয়ার লেনদেন হয়নি একটি ও জানতে চাইলে তিনি জানান সামিট পাওয়ার লিমিটেড শেয়ার টি মৌলভিত্তি সম্পন্ন দেখে তার বিনিয়োগের ৮০% টাকা দিয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন ১ বছর আগে।যদিও তিনি তার শেয়ার নিয়ে বিচলিত নন,তদুপরি শেয়ারের লেনদেন হচ্ছেনা দেখে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়েই আক্ষেপ করে বলেছেন কি পচা শেয়ার কিনলাম সারাদিনে ১ টা শেয়ার ট্রেড হয়না।
তিনি জানান তার কাছে অন্য যে শেয়ারটি আছে তার ও লেনদেন হচ্ছেনা।অন্য শেয়ার টি হলো ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড।
সাভাবিক ভাবেই নিজের হোল্ডিং কৃত লাখ লাখ টাকার শেয়ারের লেনদেন না হওয়াতে বিনিয়োগকারীদের মন খারাপ হবার ই কথা।
সার্বিকভাবে বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে আসলেই এই মুহূর্তে শেয়ার বাজারের বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীরা খুবই কস্টের মধ্যে আছেন। সবচেয়ে বেশি কস্টে আছেন ফ্লোরে আটকে থাকা শেয়ারের বিনিয়োগকারীরা।
বাজার সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের উচিৎ বাজারে কিভাবে এই স্থবিরতা কাটিয়ে বাজারকে যোগান ও চাহিদার সমন্বয় করে বাজারের সাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা যায় সেই লক্ষ্যে আশু পদক্ষেপ নেয়া।