দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচক ও লেনদেন উভয়ই বেড়েছে । আজ ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন গতদিনের চেয়ে বেড়েছে। আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৩২.৪১ কোটি টাকার শেয়ার।
যা গতদিন ছিল ৪৬২.৫২ কোটি টাকার শেয়ার। আজ ডিএসইতে গতদিনের চেয়ে ৬৯.৮৯ কোটি টাকার বেশি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।

লেনদেনে আজ মূল সূচক ডিএসইএক্স সূচক ৪.২৪ পয়েন্ট বেড়ে, অবস্থান করছে ৬২০৯.৫২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ০.৪৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৫৭.৬৮ পয়েন্টে। ডিএস ৩০ সূচক ১.১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৯৮.৭৬ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে মোট ৩৩৪ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০ টির, কমেছে ১২৭ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৬৭ টির।
অপরদিকে দেশের ২য় শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক নেতিবাচক থাকলেও লেনদেন গতদিনের চেয়ে মাত্র ৩ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯.৭০ পয়েন্ট কমে সূচক অবস্থান করছে ১৮৩২৭.৭৯ পয়েন্টে।

আজ সিএসইতে ১৩.৩৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গতকাল ছিল ১৩.৩০ কোটি টাকা। আজ সিএসইতে গতদিনের চেয়ে মাত্র ৩ লাখ টাকার বেশি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
আজ সিএসই তে মোট ১৩৩ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫ টির, কমেছে ৪৮ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬০ টির।
আজ প্রায় ১ মাস পরে ৫০০ কোটির বেশি লেনদেন হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। এর আগে গত ১৩ই ডিসেম্বর ৬০০ কোটির কিছু লেনদেন হয়েছিল।
আজ লেনদেন চলাকালীন ব্রোকার হাউজে ঘুরে, হাউজের অফিসারদের কিছুটা কর্মব্যস্ত থাকতে দেখা গেল। মাঝে মধ্যে ফোন কলের মাধ্যমে লেনদেন করতে দেখা গেল। একজন বড় বিনিয়োগকারীর সাথে কথা বলে জানা গেল, তিনি আশাবাদী আজকের লেনদেনের মতো ধারাবাহিকতা বজায় রেখে, টানা কিছুদিন লেনদেন হলে বাজারের প্রতি আস্থা বাড়তো এবং নতুন বিনিয়োগ বাড়াতাম।
উল্লেখ্য আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীগন বাজার নেতিবাচক থাকলে বিনিয়োগ করতে সাহস পান না। কিন্তু কিছুটা ইতিবাচক হলেই তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞগণ খারাপ বাজারে বিনিয়োগ করতে পরামর্শ দেন। এছাড়া শেয়ার বাজারের নিয়ম অনুসারে বাজার পতনের সময় বিনিয়োগ করার মোক্ষম সময় হলেও বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা তেমন কোন বড় বিনিয়োগ করেন না।