শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে নির্ধারিত সময়ে লভ্যাংশ ঘোষণা ও বিতরণ করার বিষয়ে সতর্ক করার উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে কোনো কোম্পানি নির্ধারিত সময়ে লভ্যাংশ ঘোষণা কিংবা বিতরণে ব্যর্থ হলে ওই কোম্পানির পাশাপাশি পর্ষদে থাকা পরিচালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে লভ্যাংশ বিতরণজনিত নন-কমপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন কারণে জেড ক্যাটাগরিতে অবনমন প্রসঙ্গে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএসইসি ভবনে জেড ক্যাটাগরিতে অবনমন হওয়া কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছিল। আগামীতেও দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিএসইসির এ ধরনের কার্যক্রম ও উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
এতে আরো বলা হয়, বিএসইসির পক্ষ থেকে কনফিডেন্স সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ও কোম্পানি সচিবকে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। মূলত লভ্যাংশ বিতরণজনিত নন-কমপ্লায়েন্সের কারণে কনফিডেন্স সিমেন্টকে জেড ক্যাটাগরিতে অবনমন করা হয় এবং এ প্রসঙ্গে আলোচনার জন্যই কোম্পানিটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছিল।
বিএসইসি জানিয়েছে, এরই মধ্যে কনফিডেন্স সিমেন্ট সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিতরণ করেছে ও কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ফলে গত রবিবারই কমিশনর নির্দেশনা অনুসারে কোম্পানিটিকে ‘জেড’ থেকে ‘এ’ শ্রেণীতে উন্নীত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
একটি রেসপন্স
মিউ.ফান্ড সাথে উল্লেখ করলে ভালো হতো।