বিদায়ী এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের(২০২৩)একই মাসের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। তবে এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার এলেও চলতি মাস মার্চে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার ও ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল।এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়েছে সে হিসাবে তুলানামূলক বিচারে অন্য মাসগুলোর তুলনায় ব্যতিক্রম বলে মনে করছেন না ব্যাংকাররা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৯ দিনে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ছয় কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।তবে ৩০ এপ্রিল ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার আসে,এপ্রিলের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী আয় এসেছিল ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার। মাসের প্রথম ২৯ দিনে যা বেড়ে হয় ১৯০ কোটি ৮০ ডলার।
এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়েছে। দেশে সাধারণত ঈদের মাসে প্রবাসী আয় বেশি পরিমাণে এলেও এপ্রিল মাসে আসা আয়কে অন্য মাসগুলোর তুলনায় ব্যতিক্রম বলে মনে করছেন না ব্যাংকাররা। বরং সাম্প্রতিক সময়ের অন্য মাসের তুলনায় এপ্রিলে প্রবাসী আয় শেষ পর্যন্ত খানিকটা কম হতে পারে, এমন আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে শেষ দিনের আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে বাড়তি প্রবাসী আয় আসার প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও এবার তেমনটা দেখা যায়নি।
এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার এলেও আগের মাস মার্চে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার ও ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল।
উল্লেখ্য এখন বেশি্রভাগ ব্যাংক ১১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৭ টাকা দরে প্রবাসী আয় কিনছে। তবে সংকটে থাকা কিছু ব্যাংক বেশি দামেও ডলার কিনছে। যদিও ডলারের আনুষ্ঠানিক দর ১১০ টাকা। ফলে আমদানিকারকদের অতিরিক্ত দামে ডলার কিনে আমদানি দায় মেটাতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে ভোক্তার ওপর। দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার এখনো ৯ শতাংশের ওপরে রয়ে গেছে।