সরকার দুই অর্থবছর বিরতি দিয়ে আবারও ব্যাংকে জমা টাকার ওপর আবগারি শুল্ক বাড়াচ্ছে। বর্তমানে ছয়টি স্তরে শুল্ক নেওয়া হলেও, আসছে বাজেটে এ স্তর হতে পারে আটটি। গ্রাহকের আমানত ১০ লাখ টাকার বেশি হলে বাড়তি অর্থ দিতে হবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এভাবে শুল্ক বাড়ানো হলে ব্যাংকে আমানত রাখতে নিরুৎসাহিত হবেন গ্রাহকেরা।
২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংকে থাকা টাকার ওপর আবগারি শুল্কের পরিমাণ বাড়ানো হয়। বছরে কোনো ব্যাংক হিসাবে আমানতের পরিমাণ ১ লাখ টাকার বেশি হলে আবগারি শুল্ক দিতে হয়। বর্তমানে শুল্কের স্তর ছয়টি থাকলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তা আটটি করা হচ্ছে। বর্তমানে এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দেড় শ টাকা ও পাঁচ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত ৫শ টাকা আবগারি শুল্ক রয়েছে।
১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত গচ্ছিত অর্থে তিন হাজার টাকা আবগারি শুল্ক কেটে নেয় এনবিআর। এটি ভেঙে দুটি স্তর করা হচ্ছে। ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক বসতে পারে।
১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত স্তরটিও ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। ১ কোটি থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা এবং ২ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হতে পারে। আর ৫ কোটি টাকা অতিক্রম করলে, আবগারি শুল্কের পরিমাণ ৪০ হাজারের পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা করা হতে পারে।
এ বিষয়ে অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন করে আবগারি শুল্ক বাড়ানো অযৌক্তিক। এতে সঞ্চয়ের প্রতি অনীহা তৈরি হলে, অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের ঝুঁকি বাড়বে।
বর্তমানে ব্যাংকের জমা টাকা ও বিমান টিকিট ক্রয়, এই দুই খাতের ওপর আবগারি শুল্ক নেয় এনবিআর।
Author
-
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' একটি নির্ভরযোগ্য শেয়ার বাজার ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল। অর্থ ও বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রকাশ করে।
View all posts
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' শেয়ার মার্কেটের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সততার সহিত পরিবেশন করে এবং কোন সময় অতিরঞ্জিত, ভুল তথ্য প্রকাশ করেনা এবং গুজব ছড়ায়না, বরং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বদ্ধ পরিকর। এটি একটি স্বাধীন, নির্দলীয় এবং অলাভজনক প্রকাশনা মাধ্যম।