ঢাকা শেয়ার বাজার

২৭ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার ১১ কার্তিক ১৪৩২

ব্যাংক হিসাবে তিন লাখ টাকার বেশি থাকলে আবগারি শুল্ক দিতে হবে

সবার আগে শেয়ার বাজারের নির্ভর যোগ্য খবর পেতে আপনার ফেসবুক থেকে  “ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম” ফেসবুক পেজে লাইক করে রাখুন, সবার আগে আপনার ওয়ালে দেখতে। লাইক করতে লিংকে ক্লিক করুন  facebook.com/dhakasharebazar2024

ব্যাংক হিসাবে তিন লাখ টাকার বেশি থাকলে আবগারি শুল্ক দিতে হবে।এত দিন ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকার বেশি থাকলে আবগারি শুল্ক কেটে রাখা হতো। এখন থেকে তিন লাখ টাকার বেশি থাকলে আবগারি শুল্ক কেটে রাখা হবে। গত জুনে চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় এই পরিবর্তন আনা হয়। অবশ্য এতে গ্রাহকেরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন।

সাধারণত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে ব্যাংকের গ্রাহকদের থেকে আবগারি শুল্কের টাকা কেটে নেয় ব্যাংকগুলো। কোনো ক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেও কাটা হয়।

অনেকেই জানেনা আবগারি শুল্ক কী? আবগারি শুল্ক হলো একধরনের পরোক্ষ কর। যা সরকার নির্দিষ্ট কিছু পণ্য, সেবা বা আর্থিক কার্যক্রমের ওপর ধার্য করে। যেমন ব্যাংকে টাকা রাখা, মুঠোফোনে কথা বলা, সিগারেট কেনা ইত্যাদি। এ ধরনের শুল্ক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয় ও মুনাফার ওপর বসে না। কোনো কার্যকলাপ বা সুবিধা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বসে।

কোনো গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে বছরে একবার হলেও তিন লাখ টাকা থাকলে আবগারি শুল্ক দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই আবগারি শুল্ক বসে হিসাবের স্থিতির ওপর।

একজন গ্রাহকের  হিসাবে যদি বছরের যেকোনো সময় তিন লাখ টাকা পর্যন্ত থাকে। তাহলে কোনো আবগারি শুল্ক কাটা হবে না। তিন লাখ ১ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫০ টাকা; ৫ লাখ ১ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা; ১০ লাখ ১ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৩ হাজার টাকা; ৫০ লাখ ১ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা; এক কোটি টাকা ১ টাকা থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা; ২ কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি ৫০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হবে।

প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কোনো ব্যাংক হিসাবে আমানত বা স্থিতির পরিমাণ যদি একবার তিন লাখ টাকা বা তার ওপরের স্তরগুলোর সীমা অন্তত একবার স্পর্শ করে, তাহলে নির্দিষ্ট হারে আবগারি শুল্ক দিতে হয়। একাধিকবার স্পর্শ করলেও একবারই আবগারি শুল্ক কাটা হয়।

মোটাদাগে সব ধরনের হিসাব থেকেই আবগারি শুল্ক কাটা হয়। যেমন সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, এফডিআর, ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস), বেতনভিত্তিক হিসাব ইত্যাদি।

আবগারি শুল্ক বসানোর বেশ কিছু কারণ আছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই আবগারি শুল্ক আদায় করে। তবে এনবিআরের পক্ষে ব্যাংকগুলো হিসাব থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবগারি শুল্ক কেটে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। আবগারি শুল্ক কাটার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো রাজস্ব সংগ্রহের উৎস, উচ্চ আয়ের করদাতাদের করজালে আনা; ব্যাংক হিসাবে স্বচ্ছতা; আর্থিক শৃঙ্খলা; প্রশাসনিক সুবিধা বা করদাতার সুবিধা।

Author

  • 'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' একটি নির্ভরযোগ্য শেয়ার বাজার ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল। অর্থ ও বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রকাশ করে।

    'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' শেয়ার মার্কেটের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সততার সহিত পরিবেশন করে এবং কোন সময় অতিরঞ্জিত, ভুল তথ্য প্রকাশ করেনা এবং গুজব ছড়ায়না, বরং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বদ্ধ পরিকর। এটি একটি স্বাধীন, নির্দলীয় এবং অলাভজনক প্রকাশনা মাধ্যম।

    View all posts
Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আপনি এটাও পড়তে পারেন
শেয়ার বাজার

আপনি এই পৃষ্ঠার কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না।