শীতকালে সবজির বাজারে আগুন,ভরা মৌসুমেও সাধারণ মানুষ সবজি কিনতে পারছেনা, বিষয়টি ভাবাই যায়না।চলতি ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই শীতকালীন সবজিতে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও ডিসেম্বর মাসের শেষে ভরা মৌসুমে ফের দাম চড়া।দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় নানা পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী।
আজ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, শীত মৌসুমের শুরুতে অধিকাংশ শীতকালীন সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়া আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ, চিনি, চাল, আটা ও ডাল।তবে গরুর মাংসের দাম ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যেই মিলছে।
বাজারে সবজির মধ্যে নতুন আলুর যোগান বাড়লেও দাম কমছে না। ৬০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু আর পুরাতন আলু ৬০ টাকা। চড়া বাজারে নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পুরাতন পেঁয়াজ ১৩৫ থেকে ১৫৫ টাকা।
কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি,পাকা টমেটোর কেজি ৯৫ থেকে ১১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা টমেটো ৬০-৮০ টাকা। করলা ৫০-৬৫ টাকা, ঢেঁড়স ৬৫-৭৫ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৪৫ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ৩০-৪৫ টাকা, পটল ৬০-৭৫ টাকা, বরবটি ৮০-১১০ টাকা ও পেঁপে ২৫-৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কোয়ালিটি অনুসারে দাম কম বেশি।চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬৫-৭৫, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী ৫৫-৭০ টাকা, গাজর ৬০-৬৫ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০/৩৫ টাকায়।
প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৩৫ থেকে ৫৫ টাকা, স্থানভেদে কিছুটা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ-কুমড়া আকার অনুযায়ী পিস ৪০ থেকে ৭০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০ টাকা, মূলা শাক ১৫-২৫ টাকা, পালং শাক ২৫-৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৮০/১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থানভেদে ফার্মের মুরগী কিছুটা কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি প্রকার ও স্থানভেদে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংস দাম কমে ৬০০থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ৯৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দুইটি মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে মাছের দাম অনেকটা আগের সপ্তাহের মতোই স্থিতিশীল আছে। স্থানভেদে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া স্থানভেদে শোল মাছ প্রতি কেজি ৫০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৫৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোয়া মাছ ৩০০ থেকে ৪০০, চাসের পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৫০০,দেশী বাতাসি টেংরা ৮০০/৮৫০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৫০০ থেকে ৬০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২৫০, রুপচাঁদা ৯০০/১০০০ হাজার ও বাইম মাছ ৯০০/১০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।ইলিশ মাছ খুব কম দেখা গিয়েছে আকার বেধে ৫০০/১০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে তবে ব্র ইলিশের দেখা মিলেনি।
হটাৎ করে কেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দুব্যমুল্যের দাম বাড়ল এটা তদারকি করা উচিৎ ভোক্তাঅধিকার অধিদপ্তরের ,পাশাপাশি ভোক্তাদের উচিৎ দর দাম করে কেনা,কেননা বিক্রেতারা ইচ্ছে করে দাম নিচ্ছে যার কাছে যা নিতে পারে,তাই সাধারণ মানুষদের উচিৎ বাজারে গিয়ে দরদাম করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করা।
Author
-
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' একটি নির্ভরযোগ্য শেয়ার বাজার ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল। অর্থ ও বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রকাশ করে।
View all posts
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' শেয়ার মার্কেটের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সততার সহিত পরিবেশন করে এবং কোন সময় অতিরঞ্জিত, ভুল তথ্য প্রকাশ করেনা এবং গুজব ছড়ায়না, বরং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বদ্ধ পরিকর। এটি একটি স্বাধীন, নির্দলীয় এবং অলাভজনক প্রকাশনা মাধ্যম।