শেয়ারবাজারে পুঁজি রক্ষার দাবি নিয়ে মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরোনো ভবনের সামনের রাস্তায় সমাবেশ করছেন শেয়ারবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) ব্যানারে সমাবেশ করছেন তারা।
আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরোনো ভবনের সামনে এই সমাবেশ শুরু হয়। সভায় হাজার হাজার বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন।
বিনিয়োগকারীদের ১১ দাবি
১। বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ও আইসিবি’র চেয়ারম্যানকে দ্রুত অপসারণ করে নতুন যোগ্য চেয়ারম্যান নিয়োগ করে পুঁজিবাজার বাঁচাতে হবে।
২। বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে গেইন-ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।
৩। বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে (তদন্ত ও অসময়ে জেড গ্রুপে প্রেরণ ইত্যাদি)।
৪। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর বিধান সংস্কার করা প্রয়োজন। কারণ কোম্পানির জেড ক্যাটাগরিতে গেলে সর্বোপরি বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন।
৫। কোম্পানিগুলোকে আয়ের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে।
৬। ব্যাংক, ফাইন্যান্স, ইন্স্যুরেন্স, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আইসিবিসহ পুঁজিবাজারে তাদের যতটুকু বিনিয়োগ করার কথা তা শতভাগ কার্যকর করতে হবে।
৭। টাস্ক ফোর্সের সংস্কারগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দ্রুত জানাতে হবে। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করে বিনিয়োগকারীকে ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে।
৮। কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ ৩০ শতাংশ অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
৯। বিএসইসি’র দায়িত্ব অন্তত ১০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজার বিনিয়োগ নিয়ে আসা।
১০। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হলে তাহার বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে।
১১। ফোর্স সেল বন্ধ করতে হবে।
সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ( সাধারণ সম্পাদক এবি পার্টি), মোঃ নুরুল হক নুরসহ (সভাপতি গনঅধিকার পরিশোধ ও সাবেক ভিপি ডাকসু) অন্যান্যরা।
সভায় বক্তারা শেয়ার বাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএসইসির চেয়ারম্যানের পুঁজিবাজার বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে তিনি পুঁজিবাজার ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছেন। এ অবস্থায় বাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে তাঁর পদত্যাগ করা দরকার।