যদি কেউ ঝুঁকি ছাড়াই উচ্চ লাভের নিশ্চয়তা দেয়, তবে সতর্ক থাকুন। বিনিয়োগের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হলে সে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাস করা উচিত নয়। বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে খুব তাড়াহুড়া করবেন না।
অজানা ব্যক্তির কাছে ব্যক্তিগত তথ্য কখনই দেয়া উচিত নয় এবং অর্থসংক্রান্ত তথ্যের জন্য দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অযাচিত বিনিয়োগ অফারগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত এবং অনলাইনে প্রাপ্ত বিনিয়োগ তথ্য যাচাই করবেন।
এভাবে সচেতনতা ও সতর্কতার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা জালিয়াতি ও কেলেঙ্কারির কবলে পরার সম্ভাবনা কমাতে পারেন।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বাজারের গতিপ্রকৃতির কারণে লাভ বা ক্ষতির নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। বিনিয়োগকারীদের জন্য পুঁজির নিরাপত্তা ও বিনিয়োগের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী হন অথবা বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার জানা দরকার।
প্রথমত, বিও হিসাব খোলার সময় সঠিক তথ্য দেয়া জরুরি। বিনিয়োগের পূর্বে যেকোনো ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে হিসাব খুলতে হবে। ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা নিজ নামে একটি ও যৌথ নামে আরেকটি হিসাব খুলতে পারবেন। আপনার বিও হিসাবের সব ডেবিট ও ক্রেডিট এন্ট্রির তথ্য বিনা খরচে মোবাইলে এসএমএস এবং ই-মেইলে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সরাসরি সিডিবিএল থেকে দেয়া হয়।
আপনার মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানার সঠিকতা নিশ্চিত করতে হবে। বিও হিসাব খোলা, লিংক অ্যাকাউন্ট খোলা, বিনিয়োগকারীর নাম বা ব্যাংক হিসাব পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে মোবাইলে এসএমএস অ্যালার্ট ও ই-মেইল নোটিফিকেশন পাওয়া যাবে। কোম্পানিগুলোই মেইলে বার্ষিক সভার নোটিস ও বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠায়, তাই সঠিক ই-মেইল ঠিকানা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
বর্তমানে কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ পাঠানোর জন্য দেশের প্রচলিত পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে। এজন্য বিও হিসাবে বিনিয়োগকারীর সঠিক ব্যাংক হিসাব নম্বর থাকা আবশ্যক। ঠিকানা ভুল হলে লভ্যাংশ ও অন্যান্য তথ্য প্রাপ্তিতে সমস্যা হতে পারে। আপনার আয়কর নিবন্ধন নম্বর বিও হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করলে লভ্যাংশের ওপর কর কর্তনের হার কমবে।
অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ‘কাস্টমার কমপ্লেইন অ্যাড্রেস মডিউল’ চালু করেছে, যার মাধ্যমে বিএসইসির ওয়েবসাইটে গিয়ে অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। অভিযোগ দাখিলের পর আপনার ই-মেইলে একটি প্রাপ্তিস্বীকার পত্র পাবেন, যার মাধ্যমে আপনার অভিযোগের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন। অভিযোগের ফয়সালায় অসন্তুষ্ট হলে আপনি আপিলও করতে পারবেন।
বিনিয়োগকারীদের জন্য সঠিক তথ্যের গুরুত্ব অপরিসীম এবং সঠিক পদক্ষেপই তাদের বিনিয়োগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
Author
-
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' একটি নির্ভরযোগ্য শেয়ার বাজার ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল। অর্থ ও বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রকাশ করে।
View all posts
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' শেয়ার মার্কেটের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সততার সহিত পরিবেশন করে এবং কোন সময় অতিরঞ্জিত, ভুল তথ্য প্রকাশ করেনা এবং গুজব ছড়ায়না, বরং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বদ্ধ পরিকর। এটি একটি স্বাধীন, নির্দলীয় এবং অলাভজনক প্রকাশনা মাধ্যম।