বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি খাতের সঞ্চয়পত্র ও সঞ্চয়বন্ড পর্যায়ক্রমে বন্ড মার্কেটে নিয়ে আসার সুপারিশ করেছে। এতে বন্ড মার্কেটে বহুমুখী ও আকর্ষণীয় মুনাফার উপকরণের সরবরাহ বাড়বে। একই সঙ্গে সঞ্চয়পত্র ও সঞ্চয়বন্ডে বিনিয়োগকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো উপকৃত হবে। যে কোন প্রয়োজনে সঞ্চয়ী উপকরণ বন্ড মার্কেটে বিক্রি করে টাকা নগদায়ন করতে পারবেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ নিরাপত্তা রয়েছে এমন সব তহবিল, পেনশন তহবিলও বন্ড মার্কেটে নিয়ে আসার প্রস্তাব করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘সরকারি সিকিউরিটিজ প্রতিবেদন ২০২২-২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতি বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) শর্তে এবার প্রতিবেদনকে আরও সমৃদ্ধ করা হয়েছে। সরকারি ঋণের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংযোজন করা হয়েছে। আইএমএফের ঋণের একটি শর্ত ছিল সরকারি খাতের ঋণের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন বার্ষিকভিত্তিতে প্রকাশ করা। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বার্ষিক আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতেও খেলাপি ঋণ নবায়নসহ এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন তহবিল সঞ্চয়পত্রে ও ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে। এসব ফান্ডের একটি অংশ সেন্ডেকান্ডি বন্ড মার্কেটেও নিয়ে আসা যেতে পারে। এতে বন্ড মার্কেটে তারল্যের প্রবাহ বাড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে জোগান দিতে হয়েছে। এতে তারল্যের একটি বড় অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে গেছে। এসব তারল্য আবার ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে রেপোর নিলামের প্রবণতা বেড়েছে।
Author
-
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' একটি নির্ভরযোগ্য শেয়ার বাজার ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল। অর্থ ও বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রকাশ করে।
View all posts
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' শেয়ার মার্কেটের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সততার সহিত পরিবেশন করে এবং কোন সময় অতিরঞ্জিত, ভুল তথ্য প্রকাশ করেনা এবং গুজব ছড়ায়না, বরং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বদ্ধ পরিকর। এটি একটি স্বাধীন, নির্দলীয় এবং অলাভজনক প্রকাশনা মাধ্যম।